বেড মিলল না, অপেক্ষা করতে করতে একই দিনে হাসপাতাল চত্বরেই মৃত্যু দুই রোগীর

দু-জনেই নিম্ন মধ্যবিত্ত। ঠনঠনিয়া কালিবাড়ির বাসিন্দা লক্ষ্মী সাউকে নিয়ে পরিবার গিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। ভ্যানে করেই এসেছিলেন হাসপাতালে।

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: Priyanka Dutta | Updated By: Jul 13, 2020, 05:12 PM IST
বেড মিলল না, অপেক্ষা করতে করতে একই দিনে হাসপাতাল চত্বরেই মৃত্যু দুই রোগীর
নিজস্ব চিত্র

তন্ময় প্রামাণিক: প্রশাসনের তরফে চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তবুও বদলাচ্ছে না ছবিটা। আবারও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে মৃত্যু। এবার মেডিক্যাল কলেজে পরপর দুজন রোগী, শুধু অপেক্ষা করে করেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন তাঁরা। করোনা হয়েছে কি হয়নি, এই নিয়েই দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকল টানাপোড়েন। ফল যা হওয়ার তাই-ই হল।

আরও পড়ুন:  বিজেপি বিধায়কের পকেটে সুইসাইড নোট, লেখা আছে কারা দায়ী, পুলিসের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা

দু-জনেই নিম্ন মধ্যবিত্ত। ঠনঠনিয়া কালিবাড়ির বাসিন্দা লক্ষ্মী সাউকে নিয়ে পরিবার গিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। ভ্যানে করেই এসেছিলেন হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের সামনে আউটডোর চিকিত্সা হলেও, ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।

অপেক্ষায় ছিল পরিবার। ক্রমশ নিস্তেজ হচ্ছিলেন লক্ষ্মীদেবী। ধীরে ধীরে জরুরি বিভাগের সামনেই  মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন লক্ষ্মী সাউ। হাসপাতালে ঢোকার পর চিকিত্সকরা জানিয়ে দিলেন- মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 

আরও পড়ুন:  মুখ ফিরিয়েছে ৪ হাসপাতাল, মেডিক্যালে বেড পেয়েও দুশ্চিন্তায় করোনা রোগীর পরিবার

একইভাবে এদিন প্রাণ হারালেন জয়নগরের বাসিন্দা বছর ২৬ যুবক অশোক রুইদাসও। টাইফয়েডে ভুগছিলেন। প্রথমে এসএসকেএম, তারপর শম্ভুনাথ মেডিক্যাল। দুই জায়গাতেই রেফার করা হয় তাঁকে। সর্বত্র ঘুরে শেষে মেডিক্যাল কলেজ। সেখানও ভর্তি হতে না পেরে শেষপর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল অশোক রুইদাসের। 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন বারবার এমন ঘটনা? প্রশাসন তৎপর। তৈরি হচ্ছে সেফ হাউস। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। তাও কেন এই অবস্থা। বিনা চিকিৎসায় কেন একের পর এক মৃত্যু। তবে কি স্রেফ সমন্বয়ের অভাবেই এই অবস্থা? প্রশ্নটা উঠছে বারবার। চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আঙুল তুলছেন রোগীর পরিবার। 

.