সোশ্যাল সাইটকে প্রচারের হাতিয়ার করছেন রাজনীতিকরা

রাষ্ট্রপতি পদে এ পি জে আবদুল কালামের সমর্থনে ফেসবুকে প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে ক্রমশ রাজনীতিবিদদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। একটি বিশেষ প্রতিবেদন।

Updated By: Jun 19, 2012, 03:57 PM IST

রাষ্ট্রপতি পদে এ পি জে আবদুল কালামের সমর্থনে ফেসবুকে প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে ক্রমশ রাজনীতিবিদদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
চলতি মাসের ১৮ জুন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, নেট দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বিদেশমন্ত্রকের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর। পিছিয়ে নেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
২০০৯ সালের ১ জুন টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন শশী থারুর। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১৩,৮১,৫৩৪। প্রতিদিন গড়ে ১২৪১ জন তাঁর প্রোফাইল ভিজিট করেন। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি টুইটারে আত্মপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১,২৩,৩৫১। রোজ গড়ে ৮৩৯ জন তাঁর প্রোফাইল ভিজিট করেন। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে ফলো করেন ৭,০৯,৮৭১ জন। প্রতিদিন গড়ে ৫৬৬ জন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর প্রোফাইল ভিজিট করেন। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম টুইটারে আসেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২,৬৫,৩২৪. রোজ গড়ে ৪৬৫ জন তাঁর ভিজিট করেন তাঁর প্রোফাইল। ২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি টুইটারে আত্মপ্রকাশ করেন ওমর আবদুল্লা। তাঁকে ফলো করেন ১,৪৭,৮৮৮ জন। প্রতিদিন গড়ে ২৯৭ জন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর  প্রোফাইল ভিজিট করেন।
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে এ পি জে আবদুল কালামের সমর্থনে ফেসবুকে ১৬ জুন থেকে প্রচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর ফেসবুক ফ্রেন্ডের সংখ্যা ১৮,৫৯৭. প্রতিদিন গড়ে ৯,২৯৮ জন তাঁর প্রোফাইলে উঁকি দিয়েছেন। টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুকেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ২০০৯ সালের ৫ মে  ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। তাঁর ফ্রেন্ডের সংখ্যা ৩৫,৬৪৮। ফেসবুকে রোজ গড়ে ৩১ জন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর  প্রোফাইল ভিজিট করেন।
শিক্ষিত যুবসমাজের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ক্রমশ রাজনৈতিক নেতাদের বিকল্প প্রচার মাধ্যম হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দলমত নির্বিশেষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যোগ দিচ্ছেন সবাই।

.