অধ্যাপক নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ ফের মিছিল শহরে

কার্টুনকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পথে নামেন একসময়ের পরিবর্তনের সেনাপতিরা। সভা-সমাবেশ-মিছিল থেকে তাঁদের অভিযোগ, সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

Updated By: Apr 18, 2012, 09:08 AM IST

কার্টুনকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পথে নামেন একসময়ের পরিবর্তনের সেনাপতিরা। সভা-সমাবেশ-মিছিল থেকে তাঁদের অভিযোগ, সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ইস্যুতেই প্রতিবাদ বুধবারও মিছিলে সামিল হবেন কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। যাদবপুর থেকে ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক পর্যন্ত হবে এই প্রতিবাদ মিছিল। মিছিল শেষে অধ্যাপকেরা দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে।
মঙ্গলবার শহরের দু`জায়গায় এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিছিল করেন শহরের বুদ্ধিজীবীরা। দুপুর তিনটেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের ডাক দেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। মিছিলে অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্তরের মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলও। মিছিল শেষ হয় হাজরা মোড়ে।
অন্যদিকে, বন্দীমুক্তি কমিটির উদ্যোগে আরেকটি মিছিল শুরু হয় কলেজ স্কোয়ার থেকে। মিছিল শুরুর আগে কলেজ স্কোয়ারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছোটন দাস, তরুণ সান্যাল সহ আরও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। মিছিলটি শেষ হয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে। এর আগে, সোমবারই এই দুটি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামেন বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ। সাংস্কৃতিক মঞ্চ তূনীরের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়াসিম কপুর, পবিত্র সরকার, আজিজুল হক, চন্দন সেন, সইতা হালিম, গৌতম গুপ্ত সহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিরা।
একই দিনে অপর একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। সেই মঞ্চ থেকেও সরকারের সমালোচনায় সরব হন এমন অনেকেই যাঁরা এক সময় ছিলেন পরিবর্তনের পক্ষে।
সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীও প্রতিবাদকারীদের সমর্থন করে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সরকার যেন সহানুভূতিশীল হয়। এর অন্যথা হলে তাঁকেও প্রতিবাদের রাস্তা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মহাশ্বেতা দেবী।

.