সারদাকাণ্ড: আজ খোলা হতে পারে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার রহস্যজনক লকার
বিধাননগর আদালতে আজ সিবিআইয়ের তদন্তাধীন সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম মামলার শুনানি। বিধাননগর উত্তর থানায় দায়ের মল্লিকা চ্যাটার্জি নামে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছিল রাজ্য পুলিসের সিট। মামলার কেস নম্বর একশো দুই। সুপ্রিম কোর্টে সারদায় সিবিআই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন এই মামলাটিকেই মডেল মামলা বলে হলফনামা দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
![সারদাকাণ্ড: আজ খোলা হতে পারে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার রহস্যজনক লকার সারদাকাণ্ড: আজ খোলা হতে পারে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার রহস্যজনক লকার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/09/09/29017-sudipto-sen.jpg)
কলকাতা: বিধাননগর আদালতে আজ সিবিআইয়ের তদন্তাধীন সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম মামলার শুনানি। বিধাননগর উত্তর থানায় দায়ের মল্লিকা চ্যাটার্জি নামে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছিল রাজ্য পুলিসের সিট। মামলার কেস নম্বর একশো দুই। সুপ্রিম কোর্টে সারদায় সিবিআই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন এই মামলাটিকেই মডেল মামলা বলে হলফনামা দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
এদিকে, সল্টলেকে সিবিআই অফিসে আজও ফের জেরা করা হচ্ছে সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে।
সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে কলম পত্রিকার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে আজ ফের জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারদাকে কলম পত্রিকা বিক্রির চুক্তিপত্রে অসঙ্গতি পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। চুক্তিপত্রে টাকার অঙ্কের জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, টাকার অঙ্ক স্থির না হয়ে কী করে একটি পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তর হল?
সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত ২৮ অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও। তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট শাখার লকারের চাবি। লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।