জানুয়ারিতে সরকারী কর্মীদের ৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, চালু হচ্ছে মহার্ঘভাতার নতুন মডেল
মহার্ঘভাতার নতুন মডেল চালু করতে চলেছে রাজ্য। যে মডেলে কেন্দ্রের হারে নয়, রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘভাতা ঠিক করবে রাজ্য সরকারই। আজ বিধানসভায় একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাত্ রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩৮ শতাংশ মহার্ঘভাতা আর পাবেন না। তার বদলে জানুয়ারি মাসে ৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে তাদের।
মহার্ঘভাতার নতুন মডেল চালু করতে চলেছে রাজ্য। যে মডেলে কেন্দ্রের হারে নয়, রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘভাতা ঠিক করবে রাজ্য সরকারই। আজ বিধানসভায় একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাত্ রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩৮ শতাংশ মহার্ঘভাতা আর পাবেন না। তার বদলে জানুয়ারি মাসে ৬ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে তাদের।
রাজ্য সরকারি কর্মীরা ঠিক কত মহার্ঘভাতা পাবেন. তা নিয়ে দুদিন ধরেই হই চই চলছে বিধানসভায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় এক লিখিত বিবৃতিতে, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, সেপ্টেম্বর দুহাজার তেরো পর্যন্ত রাজ্যের রকর্মীদের কোনও মহার্ঘভাতা বাকি নেই।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা রাজ্যের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। এই বিবৃতির পরই ক্ষোভ শুরু হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। কারণ অমিত মিত্রের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে যায় রাজ্য সরকার বকেয়া আটত্রিশ শতাংশ ডিএ দেবে না। বুধবার অমিত মিত্রের বক্তব্যেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের যে কর আদায় হয়, তার বেশিরভাগটাই চলে যায় কেন্দ্রীয় কোষাগারে। রাজ্যের কাছে প্রায় কিছুই থাকে না। কেন্দ্র যে হারে মহার্ঘভাতা দেয় সেই হারেই রাজ্যকেও মহার্ঘভাতা দিতে হবে, এমন কোনও আইন নেই। রাজ্যের ঘাড়ে এধরণের দায় চাপাতে পারে না কেন্দ্র। রাজ্য সরকার নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী নিজের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেবে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন জানুয়ারি মাসে রাজ্য তার কর্মীদের ছ শতাংশ ডিএ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বিরোধীরা। প্রশ্ন ওঠে, কেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যয্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা ঠিক হয় বাজার দর বৃদ্ধির সূচকের ওপরে। প্রশ্ন, তাহলে কেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে কম মহার্ঘভাতা পাবেন?