ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত কালীতীর্থে দিনভর শক্তির আরাধনা
তমসো মা জ্যোতির্গময়। ঘোর অমানিশিতে অন্ধকার থেকে আলোকযাত্রা। দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী কালীপুজোর ঐতিহ্য এটাই। ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত কালীতীর্থে দিনভর শক্তি আরাধনার সাক্ষী রইল চব্বিশ ঘণ্টা।
ওয়েব ডেস্ক: তমসো মা জ্যোতির্গময়। ঘোর অমানিশিতে অন্ধকার থেকে আলোকযাত্রা। দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী কালীপুজোর ঐতিহ্য এটাই। ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত কালীতীর্থে দিনভর শক্তি আরাধনার সাক্ষী রইল চব্বিশ ঘণ্টা।
এই দরদালান থেকেই জাতি পায় প্রথম পথনির্দেশ। ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃত জ্ঞানের আলো। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, নরেন্দ্রনাথ দত্ত ও মা সারদার স্মৃতি বিজড়িত দরদালান। ভোর থেকেই সেখানে ভক্ত সমাগম।
দেবী ভবতারিণী। বেনারসি ও অলঙ্কারে সজ্জিতা প্রতিমা। রানির আমলে, পূজকের দায়িত্ব পালন করতেন এক মহাপুরুষ। তিনিই শুরু করেন নতুন পূজাপদ্ধতি। ভক্তিমার্গ। পুজোর উপাচার হয় পঞ্জিকা মেনেই। তবে ভক্তিই আসল।
আরও পড়ুন কালীপুজো মানেই জুয়ার আসর, তাই জানতে পারলেই খবর দিন পুলিসে
দুপুরের আরতির পর ভোগ নিবেদন। সাদা ভাত ও ঘি ভাত। পাঁচ রকমের ব্যঞ্জন। শুক্তো। পাঁচ রকমের ভাজা ও পাঁচ রকমের মাছ। সঙ্গে চাটনি, পায়েস এবং পাঁচ রকমের মিষ্টি। বহু বছর এই মন্দিরে বলি বন্ধ। ভোগে নেই মাংসের কোনও পদ। ভোগ নিবেদনের পর বিশ্রাম। বৈকালিক নিবেদনে দেবীকে দেওয়া হল হরেক রকমের ফল।
হেমন্তের সন্ধেয় গঙ্গার তাজা বাতাস ও মন্দিরের আলোকসজ্জা সৃষ্টি করল নৈসর্গিক পরিবেশের। ঠাকুর রামকৃষ্ণের শয়নকক্ষের কাছে শুরু হল সঙ্গীতানুষ্ঠান।
রাত নটার গর্ভগৃহে বিশেষ অন্নভোগ। লুচি, ছানার তরকারি, রাবরি সহ পাঁচ রকমের মিষ্টি।
বাইরে তখন অমানিশির উপাচারের সাক্ষী হতে হাজারো ভক্তের ভিড়। বহু মানুষের ভিড়ে ছড়িয়ে গেল সেই সনাতন বার্তা। কেউ ব্রাত্য নয়, ব্রাত্য নয় কোনপথই। যত মত তত পথ।
আরও পড়ুন মহাসমারোহে পুজো হচ্ছে ত্রিপুরার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে