একই সঙ্গে বিষ খেলেন মা ও দুই ছেলে, যাদবপুরের ঘটনায় সূত্র খুঁজছে পুলিস
বুধবার যাদবপুরের ইব্রাহিমপুরের একটি বাড়ি থেকে বছর ৬৫-র স্বাতী সরকার ও ২ ছেলে অনির্বাণ ও অরিজিত্কে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। কিন্তু প্রথমে এই ঘটনার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। কী এমন কারণ, যার জন্য একসঙ্গে ৩ জনই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম সন্দেহ হয়েছিল পাড়শিদেরই। বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ না আসায় জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়েছিলেন তাঁরাই। তাতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছেন মা ও দুই ছেলে। মুখ দিয়ে তাঁদের গ্যাজলা বেরোচ্ছে। দৃশ্য দেখেই তড়ঘড়ি থানায় খবর দেন তাঁরা। যাদবপুরে একই পরিবারের ৩ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা। মৃত্যু হয়েছে বড় ছেলের। মা ও ছোটো ছেলে আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ভুল ঘোষণার জের, সোদপুর স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ
বুধবার যাদবপুরের ইব্রাহিমপুরের একটি বাড়ি থেকে বছর ৬৫-র স্বাতী সরকার ও ২ ছেলে অনির্বাণ ও অরিজিত্কে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। কিন্তু প্রথমে এই ঘটনার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। কী এমন কারণ, যার জন্য একসঙ্গে ৩ জনই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন?
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত মনোনয়নে জারি সংঘর্ষ, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলার পর উঠে আসে আসল সত্য। জানা যায়, কিছু বছর আগে স্বাতী ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পর টাকা শোধ করতে না পারায়, ব্যাঙ্কের বাউন্সসরা বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যেত। ইদানীং তা প্রায়শই হত বলে খবর। সেই কারণেই স্বামী ও তাঁর ২ ছেলে এই পথ বেছে নিয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। স্বাতী ও তাঁর ছোটো ছেলে অরিজিত্ বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।