পুরুলিয়ায় অমিত না দিল্লিতে মোদী- কে মিথ্যা বলছেন? প্রশ্ন তৃণমূলের
পুরুলিয়ায় অমিত শাহের বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহ না নরেন্দ্র মোদী- কে মিথ্যা বলছেন? এই প্রশ্নই তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দু'টি টুইট তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে স্ববিরোধিতার অভিযোগ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার সভায় তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে অমিত শাহ বলেন,''সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে মমতার সরকার। সাধারণ নাগরিক সুবিধাও পাচ্ছেন না পুরুলিয়াবাসী। পানীয় জল, বিদ্যুত্, রেশন মিলছে না। সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়ন হয়নি, শুধুমাত্র তৃণমূলের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে।'' এই 'বিদ্যুত্ নেই' বলেই গোল বাঁধিয়েছেন অমিত শাহ। কারণ, ২ মাস আগে নরেন্দ্র মোদীই টুইটারে ঘোষণা করেছিলেন, ''ভারতের উন্নয়নে ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে ২৮ এপ্রিল। গতকাল সাধারণ মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা পূরণ করেছি। ভাল লাগছে, দেশের একটিও গ্রাম আর বিদ্যুত্হীন নেই।''
Addressed a huge public meeting in Purulia (WB). Mamata govt has failed on all fronts & people don’t have access to even basic facilities like clean drinking water, electricity & ration. No development has taken place for the common people but only goons of TMC have flourished. pic.twitter.com/xSLRdcZcJs
— Amit Shah (@AmitShah) June 28, 2018
28th April 2018 will be remembered as a historic day in the development journey of India. Yesterday, we fulfilled a commitment due to which the lives of several Indians will be transformed forever! I am delighted that every single village of India now has access to electricity.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 29, 2018
তৃণমূলের প্রশ্ন, পুরুলিয়া অমিত শাহ বলছেন, এখনও বিদ্যুত্হীন গ্রাম। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব দাবি করছেন। কোনটা সত্যি?
দেখুন এই দুটো টুইট। একটি পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আরেকটি করেছেন বিজেপির সভাপতি। কে মিথ্যে বলছেন? pic.twitter.com/a9InaxNv8U
— AITC (@AITCofficial) June 29, 2018
সরকারে আসার পর ৭৬,০০০ কোটির দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি প্রকল্পের সূচনা করে মোদী সরকার। ১৮,৪৫২টি গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। পরে অন্তর্ভূক্ত হয় আরও ১,২৭৫টি গ্রাম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩.১২টি গ্রামীণ বাড়ি বা গ্রামীণ এলাকায় মোট বাড়ির ১৭ শতাংশই এখনও বিদ্যুত্হীন।বিদ্যুত্হীন ঘরের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম, ঝাড়খণ্ড ও ওডিশা।
আরও পড়ুন- মানসরোবর যাত্রার আবেদন করেননি রাহুল গান্ধী, জানাল বিদেশমন্ত্রক