দলের কর্মীদের বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নিষেধ করল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
বিজেপি নিয়ে প্রশ্ন? তৃণমূলে একটাই উত্তর মিলবে। না। শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ। এড়িয়ে যেতে হবে গেরুয়া শক্তির উত্থান নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন। কোনও প্ররোচনাতেই পা দেওয়া যাবে না।
ওয়েব ডেস্ক : বিজেপি নিয়ে প্রশ্ন? তৃণমূলে একটাই উত্তর মিলবে। না। শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ। এড়িয়ে যেতে হবে গেরুয়া শক্তির উত্থান নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন। কোনও প্ররোচনাতেই পা দেওয়া যাবে না।
ঈশান কোণে জমছে মেঘ। বারবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে গেরুয়া শক্তি। তৃণমূলের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ কাঁথিতেও টক্কর দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। পাশার দান উল্টে দেওয়ার শক্তি আর বামেদের নেই। কারও সঙ্গে জোট না করে কংগ্রেসের পক্ষেও সফল হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের শত্রু একমাত্র বিজেপিই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিন্দু ভোটের মেরুকরণ ঘটিয়ে রাজ্যে অঘটন ঘটাতে পারে বিজেপিই। কারণ ধর্মীয় ভাবাবেগ এমনই, সেখানে উন্নয়নের যাবতীয় যুক্তি ভেসে যায়।
তবু প্রধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চুপ তৃণমূল। একেবারে চুপ। কোনও উত্তরই দিচ্ছেন না ঘাসফুল নেতারা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতায় এক দলীয় সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অস্বস্তি এড়ানোর চেষ্টা নয়। সুচিন্তিত রণকৌশল। ভেবেচিন্তেই বিজেপির প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- বিজেপির যুবনেতার ফতোয়ার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
কারণ বিজেপি এমন এক দল, যাকে আক্রমণ করলে তার পক্ষে জনমত তৈরি হয়। তৃণমূল যাতে আক্রমণ করে, সেই লক্ষ্যে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্যও করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। শীর্ষ নেতৃত্ব ভয় পাচ্ছেন, নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে বেফাঁস কিছু বলে ফেললে তা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দিতে পারে। তখন ধর্মীয় মেরুকরণকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে বিজেপি।
যদিও বাম ও কংগ্রেসের দাবি অন্য। তারা অভিযোগ করছে, সারদা ও নারদের ভয়েই কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে চুপ তৃণমূল। কারণ যাই হোক, আপাতত বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের কোনও নেতাই জোরালো বক্তব্য রাখবেন না বলেই ধরে নেওয়া যায়। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ও বাছাই কয়েকজন শীর্ষ নেতা ছাড়া কেউই বিজেপি নিয়ে কোনও জবাব দেবেন না।