মেয়ের ভিসায় স্বাক্ষর চাই, মেয়রের বাড়ির সামনে সারা রাত ধরনা রত্নার
কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়ের জার্মানি যাওয়ার ভিসায় স্বাক্ষর করতে কিছুতেই রাজি নন। সেই কারণেই গোলপার্কে মেয়রের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আর তার জন্য ভিসায় চাই বাবার স্বাক্ষর। কিন্তু, কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়ের জার্মানি যাওয়ার ভিসায় স্বাক্ষর করতে কিছুতেই রাজি নন। সেই কারণেই গোলপার্কে মেয়রের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফলে ঘরোয়া কোন্দল এবার প্রকাশ্যে চলে এল।
মেয়ের ভিসায় যাতে শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বাক্ষর করে দেন, তার দাবিতে রত্না চট্টোপাধ্যায় যতই ধরনায় বসুন না কেন, মেয়র কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে এখনও অনড়। সারা রাত ধরনার পর শুক্রবার সকালে অবশ্য পুলিসের আন্তরিক অনুরোধে সেখান থেকে উঠে যান রত্না চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তাঁদের মেয়ে জার্মানিতে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, ভিসায় বাবা-মা দু’জনের স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। কিন্তু, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা চলায়, মেয়ের জার্মানি যাওয়ার ভিসায় স্বাক্ষর করেননি বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই এবার মেয়রের গোলপার্কের বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধরনায় বসেন মেয়র পত্নী। যদিও, কলকাতার মহানাগরিক কেন ভিসায় কেন স্বাক্ষর করছেন না, সে বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। কিন্তু, অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মেয়ের জার্মানি যাওয়ার ভিসায় মেয়র স্বাক্ষর না করলে, রত্না চট্টোপাধ্যায় আবার ধরনায় বসতে পারেন।
এদিকে সকালে মেয়রের গোলপার্কের বাড়ির সামনে থেকে যাতে রত্না চট্টোপাধ্যায় উঠে যান, তার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানায় পুলিস। এরপর তাঁকে রবীন্দ্র সরোবর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি মেয়র পত্নী যাতে আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে কোনওভাবেই ধরনায় না বসেন, তার জন্য বার বার অনুরোধও জানানো হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু, শোভন চট্টোপাধ্যায় যতক্ষণ মেয়ের বিদেশ যাওয়ার ভিসায় স্বাক্ষর না করছেন, ততক্ষণ রত্না চট্টোপাধ্যায় ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।