ঘনঘন ডাক্তার বদলে মারাত্মক বিপদ!

অসুখ-বিসুখ হলে সোজা পৌঁছে যাওয়া ডাক্তারের চেম্বারে। স্বাভাবিক নিয়ম। এক ডাক্তারে মন ভরে না, এমন লোকের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম না। আজ এ ডাক্তার, কাল ও ডাক্তার। এমনটা করেন অনেকেই। অকারণে-অপ্রয়োজনে-নিছক খেয়ালের বশে ঘনঘন ডাক্তার বদল কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। জটিলতা এতে বাড়ে বই, কমে না।  

Updated By: Feb 9, 2017, 07:16 PM IST
 ঘনঘন ডাক্তার বদলে মারাত্মক বিপদ!

ওয়েব ডেস্ক : অসুখ-বিসুখ হলে সোজা পৌঁছে যাওয়া ডাক্তারের চেম্বারে। স্বাভাবিক নিয়ম। এক ডাক্তারে মন ভরে না, এমন লোকের সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম না। আজ এ ডাক্তার, কাল ও ডাক্তার। এমনটা করেন অনেকেই। অকারণে-অপ্রয়োজনে-নিছক খেয়ালের বশে ঘনঘন ডাক্তার বদল কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। জটিলতা এতে বাড়ে বই, কমে না।  

অসুখ মানেই শুধু তো শরীর নয়, মনের ওপরও চাপ। এরপরের স্টেজে একের পর এক আসতে থাকে, ডাক্তার, ওষুধ, নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেখানে যদি আবার জুড়ে বসে, ঘনঘন ডাক্তার বদল, তাহলে মহাবিপদ। একজন ডাক্তারের হাতে যেভাবে চিকিত্‍সা শুরু হয়, তাঁকে বদল করলে সবটাই আমূল বদলে যায়। ফের প্রথম থেকেই চিকিত্‍সা আবার শুরু করতে হয়। রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে একবার সন্দেহ ঢুকে পড়া মানেই, পরের ডাক্তারকে বিশ্বাসের প্রশ্নেও তা প্রভাব ফেলতে বাধ্য। বারবার ডাক্তার বদল মানেই প্রতিবার ওষুধও বদল। এর ফলে অনেক সময়ই ওষুধ ঠিকমতো কাজে দেয় না, শরীরে প্রভাব কমে যায়।

একের পর এক ডাক্তারের কাছে দৌড়তে দৌড়তে রোগীর জটিলতা আরও বাড়ে। ভারতে এখনও কোনও হেলথ রেকর্ড সিস্টেম নেই, যা বাইরে অনেক দেশেই রয়েছে। রোগীর রেকর্ড সিস্টেমে থাকলে, ডাক্তার বদল করলেও অনলাইন তথ্যভাণ্ডার থেকে তা সহজেই পেয়ে যান পরের ডাক্তারও। তবে এদেশে তেমন কোনও ব্যবস্থা না থাকায়, রোগীরা কোনও সাহায্য পান না। ঘনঘন ডাক্তার বদল করলে অনেক সময় একই ওষুধ ফের রোগীকে লিখে দেওয়া হয়, কারণ আগের প্রেসক্রিপশন হয়ত দেখেননি নতুন ডাক্তার। রোগীর ওপর কার্যত গিনিপিগের মতোই এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের ওষুধ চলতে থাকে। বারবার ডাক্তার বদল, চিকিত্‍সা পদ্ধতি বদলের ফলে সুস্থ হতেও অযথা বাড়তি সময় লেগে যায় । সেরে ওঠার বদলে, আরও অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন রোগী।

আরও পড়ুন, দিনে ১৫ মিনিট নিয়ম করে হাসুন

.