শিশু ও টিভি
আপনি কি বাচ্চাকে টিভি দেখতে দেখতে খাওয়ান? আচ্ছা ওর কি স্কুল থেকে ফিরে পোকেমন বা ছোটা ভিম না দেখলে চলে না? তাহলে এখনই সাবধান হোন। কারণ দিনে মাত্র পনের মিনিটে টিভি নষ্ট করে দিতে পারে ওর সৃজনশীলতা।
ওয়েব ডেস্ক: আপনি কি বাচ্চাকে টিভি দেখতে দেখতে খাওয়ান? আচ্ছা ওর কি স্কুল থেকে ফিরে পোকেমন বা ছোটা ভিম না দেখলে চলে না? তাহলে এখনই সাবধান হোন। কারণ দিনে মাত্র পনের মিনিটে টিভি নষ্ট করে দিতে পারে ওর সৃজনশীলতা।
টিভি আর টিভি। আপনার ছোট্ট সোনার জগতটা এখন ঘরের কোনায় রাখা ওই রঙিন বাক্সেই বন্দি। ওর রূপকথারা জাল বোনে টিভির স্ক্রিনে। কখনও ভুলিয়ে ভালিয়ে খাওয়ানোর জন্য কখনও আবার সন্তানকে ব্যস্ত রাখতে আপনিও দ্বিধাহীন ভাবে ওর হাতে তুলে দিচ্ছেন টিভির রিমোট। কার্টুন চ্যানেলের চরিত্ররাই এখন ওর সঙ্গী, আর এখানেই বিপদ!
আরও পড়ুন- স্নানের সময় লুফা ব্যবহার করছেন? জানেন কি এই লুফার জালেই লুকিয়ে ভয়াবহ ব্যাক্টেরিয়া!
আপনার সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিতে দিনে পনের মিনিট টিভি দেখার অভ্যাসই কাফি। ব্রিটেনের স্ট্যান্ডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতে এমনটাই সামনে এসছে। গবেষণা বলছে, টিভির দেখার অভ্যাস মনের আবেগ কমিয়ে দিচ্ছে। এই শিশুরা চটপটে তো হয়ই না, ছোটখাট সিদ্ধান্তও নিতে পারে না। সৃজনশীলতার কোনও বিকাশই হচ্ছে না এই শিশুদের। ভাবনা চিন্তার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে না। ছোটখাট বুদ্ধির খেলা হোক বা ছবি আঁকা কোনও কাজই তেমন গুছিয়ে করতে পারছে না শিশুরা।
টিভি শিশুর বুদ্ধির বিকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- খুব সহজেই বাড়িতে বানান 'চাঙ্কি ভেজিটেবল পাস্তা'
তাহলে উপায়? গবেষকরা বলছেন, ছোটদের স্ক্রিন থেকে দূরে রাখুন। দিনে অন্তত একটা ঘণ্টা নিজের মতো খেলুক। চারপাশটাকে জানুক বুঝুক। চিনে নিক দুনিয়ার রং গুলিকে, বই পড়ুক, পাজল সলভ করুক। টিভির আজব দুনিয়ায় ওর শৈশবটাকে হারাতে দেবেন না প্লিজ!