বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের বিরোধিতা করার মিম কাউন্সিলরের জেল

১ বছরের জন্য জেলে ঢোকানো হল ওই মিম কাউন্সিলর সৈয়দ মতিনকে

Updated By: Aug 23, 2018, 06:22 PM IST
বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের বিরোধিতা করার মিম কাউন্সিলরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে নেওয়া একটি শোক প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় কড়া শাস্তি পেতে হল অল ইন্ডিয়া মুসলিম ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের এক কাউন্সিলরের। মহারাষ্ট্র প্রিভেনশন অব ডেঞ্জারাস অ্যাকটিভিটি-র ধারা এনে ১ বছরের জন্য জেলে ঢোকানো হল ওই মিম কাউন্সিলর সৈয়দ মতিনকে। মাদক পাচারকারী, হাঙ্গামাকারী ও বিপজ্জনক লোকজনদের বিরুদ্ধে ওই ধারা প্রয়োগ করা হয়।

গত ১৭ অগাস্ট ঔরঙ্গাবাদ পুরসভার অধিবেশন বসেছিল। অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি কাউন্সিলর রাজু বৈদ্য বাজপেয়ীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তাব করেন। ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন মাতিন। তার পরেই অধিবেশনে তুলকালাম শুরু হয়ে ‌যায়। তাঁকে বিজেপি কাউন্সিলরা বেধড়ক মারধর করেন বলে অভি‌যোগ।

আরও পড়ুন-গ্রিন করিডর করে কলকাতায় ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন, হল না হার্ট প্রতিস্থাপন  

মাতিনকে তাঁর আসন থেকে তুলে এনে থাপ্পড়, ঘুঁসি মারা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে মাতিনকে বের করে নিয়ে ‌যান। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পরে মাতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার করে পিএমডিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হাঙ্গামা বাধানো, অশালীন কাজকর্মের অভি‌যোগ আনা হয়েছে।

এদিকে মাতিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব বা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন গণতান্ত্রিক উপায়ে করার প্রস্তাব করেছিলেন। এতেই বিজেপি কাউন্সিলররা খেপে ‌যান। তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলরের নাম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অন্যদিকে, তাদের কাউন্সিলরকে মারধর করায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান মিম সমর্থকরা। পাথর ছুড়ে বেশকিছু দোকান, গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা। বাবুরাও দেশমুখ নামে এক বিজেপি কাউন্সিলরকে মারধর করে।

আরও পড়ুন-মোদীর জমানায় বাড়ছে বেকারত্ব, ‘আইসিস’ প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কে রাহুল

ঔরঙ্গবাদের সিটি চক থানার ইন্সপেক্টর ডি এস শিঙ্গারে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিস মাতিনের বিরুদ্ধে এমপিডিএ ধারায় আরও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। মাতিনের অপরাধের রেকর্ড খতিয়ে দেখে মনে হয়েছে সে একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় ‌যে কোনও সময়েই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সে হাঙ্গামা বাধিয়ে দিতে পারে।

.