‘সংবিধানকে মান্যতা দিক প্রশাসন, নাগরিক’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

  প্রশাসন ও নাগরিকদের উচিত দেশের সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে কাজ করা। ২৬/১১-র নবম বর্ষপূর্তির দিনে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে আরও একবার বার্তা দিলেন, 'কারোর ক্ষতি করে কখনই ভাল থাকা যায় না।'

Updated By: Nov 26, 2017, 08:39 PM IST
‘সংবিধানকে মান্যতা দিক প্রশাসন, নাগরিক’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রশাসন ও নাগরিকদের উচিত দেশের সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে কাজ করা। ২৬/১১-র নবম বর্ষপূর্তির দিনে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে আরও একবার বার্তা দিলেন, 'কারোর ক্ষতি করে কখনই ভাল থাকা যায় না।'

আরও পড়ুন: আর্চবিশপের চিঠিতে বিজেপিকে কটাক্ষ, নোটিস পাঠাল গুজরাট নির্বাচন কমিশন

২৬/১১ মুম্বই হামলার ন’বছর। এদিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই সুর চড়ান তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য গোটা দেশকে আহ্বান জানান তিনি। মোদী বলেন, ''গত চার বছর ধরে বিশ্বের মঞ্চে সন্ত্রাসবাদের ইস্যুটি তুলে ধরছে ভারত। এই মুহূর্তে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সব রকমভাবেই প্রস্তুত ভারত।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানে সংবিধানকে মেনে চলার জন্য প্রত্যেক ভারতীয়কে আরও একবার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পরিবারের মতো। একে অপরের শক্তি। আমাদের এই শক্তি ধরে রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন,'গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ—প্রশাসন, বিচারবিভাগ ও আমলাতন্ত্রের উচিত একযোগে কাজ করে একে অপরকে আরও শক্তিশালী করা।' 

তবে এদিন আশঙ্কার সুরও শোনা গিয়েছে মোদীর গলায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকের মধ্যেই এখনও দুর্বলতা লুকিয়ে রয়েছে। স্বাধীনতার এত দিন পরও অন্তর্নিহিত সেই দুর্বলতা আমরা অনেকেই টেনে বার করতে পারিনি। সেটা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।‘ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য কী ছেড়ে যাচ্ছি? আমরা যদি মনে করি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মই সমস্ত ঝুঁকি নিক ও কঠিন কাজগুলি করুক, তাহলে ইতিহাস আমাদের কখনই ক্ষমা করবে না।‘

আরও পড়ুন: ‘স্ত্রী-কে নিজের কাছে রাখার জন্য স্বামীকে বাধ্য করতে পারি না’, জানাল শীর্ষ আদালত

তিনি বলেন, ‘নাগরিক ও প্রশাসনের উচিত সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে এগিয়ে চলা। আমাদের সংবিধান বলছে, কোনওভাবে কারও ক্ষতি করা উচিত নয়। সেটাই পালন করা উচিত।‘ সম্প্রতি 'পদ্মাবতী' ইস্যুতে তোলপাড় দেশ। প্রধানমন্ত্রী এদিনের বক্তৃতায় নাম না করে, সেবিষয়েও বার্তা দেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

.