এ গ্রামের সব মেয়েই বেশ্যা!
উচ্চবর্ণের এক ছেলের প্রেমে পড়ে মেয়েটি। ছেলেটিও পরিবারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মেয়েটির প্রেমে সাড়া দেয়। পালিয়ে যায় যুগল। বিয়ে করে দুজনে। ঘর বাঁধে। এই গল্প তো আকছার সংবাদপত্রের পাতায় দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এখানেই আবার আলাদা হয়ে যায় গল্পটি...
ওয়েব ডেস্ক : উচ্চবর্ণের এক ছেলের প্রেমে পড়ে মেয়েটি। ছেলেটিও পরিবারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মেয়েটির প্রেমে সাড়া দেয়। পালিয়ে যায় যুগল। বিয়ে করে দুজনে। ঘর বাঁধে। এই গল্প তো আকছার সংবাদপত্রের পাতায় দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এখানেই আবার আলাদা হয়ে যায় গল্পটি...
মেয়েটির লড়াই আসলে শুধু একটি পরিবারের বিরুদ্ধে ছিল না। ছিল গোটা এক গ্রামের বিরুদ্ধে। যে গ্রামের সব মেয়ের পরিণতি হল 'বেশ্যাবৃত্তি'! যে গ্রামে সব মেয়েকে বয়ঃসন্ধিতে পা দিতেই, নামিয়ে দেওয়া হয় দেহব্যবসায়। বছরের পর বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। গুজরাটের ভাদিয়া গ্রামের এই মেয়েটির লড়াই তাই শুধু তাঁর নিজের জন্য ছিল না। ছিল গ্রামের অন্য মেয়ে-বউদের এই জঘন্য নরক থেকে উদ্ধার করার জন্যও।
ভাদিয়া গ্রামে প্রধানত সরনিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে সুপাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া নয়, বরং বড়লোক বাবুদের 'অন্য মহিলা' করতেই বেশি চায় পরিবারের লোকেরা। সেখানে এই মেয়েটির লড়াই নিঃসন্দেহে এবার মুক্তির আলো দেখাবে গ্রামের অন্য মেয়েদের।