অন্য ট্রেনের চালকরা সাবধান হলেও গতি কমাননি ঘাতক ট্রেনের চালক, অভিযোগ স্থানীয়ের
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২০ বছর ধরে জোড়া ফটকের কাছে পরিত্যক্ত ওই জমিতে দশেরার মিলন মেলায় যোগ দেন স্থানীয়রা। এদিনও বাড়ির ছোটদের হাত ধরে রাবণ দহন দেখতে এসেছিলেন বহু মানুষ। ট্রেনের চাকার তলায় পড়ে তাদের মধ্যে ৬১ জনের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনায় মিলল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, শুক্রবারের দুর্ঘটনার আগে ওই লাইন দিয়ে গিয়েছিল আরও ২টি ট্রেন। কিন্তু চালক গতি কমিয়ে নেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ডিএমইউ ট্রেনটি গতি না কমানোয় প্রাণ গিয়েছে এতগুলি মানুষের।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জসবন্ত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই মাঠেই প্রতি বছর রাবণ দহনের আয়োজন হয়। এবারও তাই হয়েছিল। রাবণ দহনের কিছু আগে থেকেই রেল লাইনের ওপরে ভিড় করতে শুরু করেন মানুষজন। সেই সময় ওই লাইন দিয়েই ২টি ট্রেন যায়। কিন্তু চালক ট্রেনের গতি কমিয়ে নেওয়ায় স্থানীয়রা রেল লাইনের ওপর থেকে সরে যাওয়ার সময় পেয়েছিল। কিন্তু জলন্ধরের দিক থেকে ডিএমইউ ট্রেনটি দুরন্ত গতিতে আসে। তাছাড়া সেই সময় রাবণ দহন শুরু হয়ে যাওয়ায় পটকার আওয়াজে ট্রেনের হর্ন শোনা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২০ বছর ধরে জোড়া ফটকের কাছে পরিত্যক্ত ওই জমিতে দশেরার মিলন মেলায় যোগ দেন স্থানীয়রা। এদিনও বাড়ির ছোটদের হাত ধরে রাবণ দহন দেখতে এসেছিলেন বহু মানুষ। ট্রেনের চাকার তলায় পড়ে তাদের মধ্যে ৬১ জনের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
বাজির তীব্র আওয়াজে চাপা পড়ে যায় ট্রেনের শব্দ, অমৃতসরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক গাফিলতির ফলে ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শী ঘাতক ট্রেনটির চালকের বিরুদ্ধে গতি না কমানোর যে অভিযোগ করেছেন তা অবশ্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের মতে, সন্ধের আলো পড়লে ঠিক তখনই শুরু হয় রাবণ দহন। শুক্রবার সন্ধে ৬.৪৭ মিনিট পর্যন্ত অমৃতসরের আকাশে ছিল দৃশ্যমান আলো। এর পর আলো দ্রুত কমতে থাকে। সন্ধে ৭.১৫ মিনিট নিকশ অন্ধকার হয়ে যায় অমৃতসরের আকাশ। ঠিক তার আগে ৭.১০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। ফলে আগের ট্রেনের চালকরা দূর থেকে ভিড় দেখে গতি কমাতে পারলেও অন্ধকার নেমে যাওয়ায় সম্ভবত ঘাতক ট্রেনের চালক তা দেখতে পাননি। তাতেই দুর্ঘটনা।