বক্তৃতায় স্থান না পাওয়া নেহেরুকে নিয়ে তুলকালাম রাজ্যসভায়

Updated By: Jul 26, 2017, 04:12 PM IST
বক্তৃতায় স্থান না পাওয়া নেহেরুকে নিয়ে তুলকালাম রাজ্যসভায়

ওয়েব ডেস্ক: মৃত্যুর ৫৩ বছর পরও ভারতীয় সংসদে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। গতকাল রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দের শপথ গ্রহণ পরবর্তী বক্তৃতায় কেন নেই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম তা নিয়ে আজ বেনজির তর্কাতর্কির সক্ষী হল রাজ্
যসভা। কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আনন্দ শর্মার এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির তীব্র বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে তা সভার বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও উঠল।

বিরোধী তথা কংগ্রেসের চাপা ক্ষোভ কালই টের পাওয়া গিয়েছিল যখন রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর প্রথম বক্তৃতা হিন্দিতে পাঠ করার সময় রামনাথ কোবিন্দের কণ্ঠে একবারও উচ্চারিত হয়নি পণ্ডিত নেহেরুর নাম। পাশাপাশি, দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতির সুলিখিত ও সংক্ষিপ্ত এই বক্তৃতায় মহাত্মা গান্ধী ও দীনদয়াল উপাধ্যায় একই পংক্তিতে স্থান পেয়েছেন। আর এই নিয়ে বলতে উঠেই আজ ঝাঁঝ বাড়ান আনন্দ শর্মা। শর্মার বলেন, "যাঁরা দেশ গড়ে থাকেন তাঁরা প্রত্যেক দেশ ও সমাজেই সম্মানিত হন, ভারতও সেই ঐতিহ্যের ভাগীদার। যেমন মহাত্মা গান্ধী দেশে সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠীত, তেমনই সেই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামী নেহেরুরও সম্মান পাওয়া উচিত, তিনিও জেলে গিয়েছিলেন"। এছাড়াও গান্ধী ও দীনদয়াল উপাধ্যায় একই সঙ্গে উল্লিখিত হওয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আনন্দ। আর এতেই সরকারি বেঞ্চ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠেন জেটলি। অর্থমন্ত্রী বলেন, অবিলম্বে সভার কর্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হোক আনন্দ শর্মার মন্তব্য।

এরপরেই জেটলি অভিযোগ তোলেন যে, আসলে বোফর্সের মতো ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই কংগ্রেস নেতা আনন্দের এমন মন্তব্য এবং এটিই তাঁর আসল উদ্দেশ্য এসব কথা বলার পিছনে। অন্যদিকে, সরকার পক্ষের এমন শরীরি ভাষা আসলে 'ঔদ্ধত্য' বলে মনে করছেন কংগ্রেসের আরেক নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কপিল সিবাল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম বক্তৃতাতেই 'বিতর্কের সূচনা' করা রামনাথ কোবিন্দ এখনও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। (আরও পড়ুন- 'কংগ্রেসের সমর্থনে আপত্তি কেরালার', রাজ্যসভায় হ্যাটট্রিক হল না সীতারামের)

.