রাহুলের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ হলে স্ত্রী ডিভোর্স দেবেন, খোঁচা বিজেপি সাংসদের

রাহুল আলিঙ্গন না করেন, সেই ভয়ে তাঁকে দেখলেই দু'কদম পিছিয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতারা, বুধবার এমন দাবিই করেছিলেন রাহুল গান্ধী।    

Updated By: Jul 26, 2018, 09:56 PM IST
রাহুলের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ হলে স্ত্রী ডিভোর্স দেবেন, খোঁচা বিজেপি সাংসদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনি আলিঙ্গন করতে পারেন, এই আশঙ্কাতে তাঁকে দেখলে দু'কদম পিছিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। বুধবার রাহুল গান্ধীর এহেন দাবির জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর কটাক্ষ,'' সত্যিই রাহুলের কাছে ঘেঁষতে ভয় পাই। ওনার আলিঙ্গনের পর বিবাহবিচ্ছেদ করে ফেলতে পারেন স্ত্রী''।'

নিশিকান্ত দুবে বলেন,''হ্যাঁ ভয় পাই। রাহুলের আলিঙ্গনের পর ডিভোর্স দিতে পারেন স্ত্রী। ৩৭৭ ধারা এখনও তুলে দেওয়া হয়নি। উনি বিবাহ করলে আলিঙ্গন করব''।

৩৭৭ ধারায় প্রকৃতির বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা অথবা ১০ বঠরের জেল এবং জরিমানাও হতে পারে। 

বুধবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক করণ থাপারের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, যখনই বিজেপি সাংসদদের কাছে যাচ্ছেন তিনি, তাঁরা দু'কদম পিছিয়ে যাচ্ছেন, পাছে আলিঙ্গনাবদ্ধ হন। একইসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ''রাজনীতিতে লড়াই করতে হয়। জয়ীপক্ষই সব কৃতিত্ব নিয়ে চলে যায়। গোটা বিশ্ব ও আমাদের এখানে যে রাজনীতিক পরিবেশ দেখি, তা সঙ্গে আমার ভাবনা মেলে না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব কিন্তু ওদের ঘৃণা করব না। একই রকম উদারতা বিজেপির কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না।'' 

গত সপ্তাহেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে মোদীকে নিশানা করার পর আলিঙ্গন করে 'গান্ধীগিরি' দেখান রাহুল গান্ধী। তিনি দাবি করেছিলেন, হিন্দু ধর্মের পাঠ তাঁকে শিখিয়েছে আরএসএস। তিনি বুঝেছেন আরএসএসের হিন্দুত্ব ভুল। সবাইকে আপন করে নেওয়াই আসল হিন্দু ধর্ম। এদিনও সেই একই সুরে রাহুলের মন্তব্য, ঘৃণা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয় ধর্ম।   

পরে নরেন্দ্র মোদী তার জবাবে বলেন,''সকালে ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়নি, তখনও বিতর্কও চলছে, এমন সময় এক সদস্য (রাহুল গান্ধী) আমার কাছে দৌঁড়ে চলে এলেন। এখানে (লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর আসন) পৌঁছনোর এত উত্সাহ, উঠো উঠো উঠো। এখানে না কেউ ওঠাতে পারবে, না কেউ বসাতে পারবে।এত তাড়াহুড়োর কি আছে। গণতন্ত্রে জনতার উপরে ভরসা রাখতে হয়।এটাই অহংকার''। 

কর্ণাটক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সংসদে ১৫ মিনিট তিনি ভাষণ দিলে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়াতে পারবেন না। সেই প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদীর কটাক্ষ, ''আমি ৪ বছর দাঁড়িয়েও আছি। কাজও করছি।'' রাহুল গান্ধীকে 'অহংকারী' খোঁচা দিয়ে বিরোধী শিবিরের ভাঙন ধরানোর কৌশলও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''একজন নিজেকেই প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করে দিচ্ছেন। অন্যদেরও তো সেই ইচ্ছা রয়েছে। তাঁদের কী হবে? এনিয়ে তো বিভ্রান্তি রয়েছে''। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ''২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। গণতন্ত্রে জনতা জনার্দন ভাগ্যবিধাতা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভরসা থাকা উচিত।'

আরও পড়ুন- 'একা মহাজোটে রক্ষে নেই, দোসর শিবসেনা', উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শঙ্কা বাড়াল শরিক

 

.