ছত্তীসগড়ের অর্ধেক মানুষই নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি দেখাতে পারবে না, উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জী নিয়েও বিজেপি সরকারকে বেঁধেন বাঘেল। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে

Updated By: Dec 21, 2019, 04:28 PM IST
ছত্তীসগড়ের অর্ধেক মানুষই নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি দেখাতে পারবে না, উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন বলবত হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে  ছত্তীসগড়ের। এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। কারণ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি অনেকের কাছেই নেই।

বাঘেল বলেন, নাগরিকত্ব আইন লাগু হলে ছত্তীসগড়ের অর্ধেক মানুষই তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না। কারণ তাদের অর্ধকেরই না রয়েছে জমি, না রয়েছে রেকর্ড।  রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের পূর্বপুরুষ নিরক্ষর ছিলেন। তাই তাঁরা কোনও নথি রাখেননি।

আরও পড়ুন-দেশের মানচিত্রের নকশা ভুল, ছবি পোস্ট করে ট্রোলড কংগ্রেস নেতা শশী

শুক্রবার রায়পুরে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাঘেল বলেন, ১৯০৬ দক্ষিণ আফ্রিকায় এভাবে নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের প্রতিবাদ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।  আমাদের এখন নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। যারা তা দিতে পারেন না তাদের কী হবে।  তাদের কি থাকতে দেওয়া হবে ?

বাঘেল আরও বলেন, ছত্তীসগড়ে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বাস করেন। এদের অর্ধেকের কাছে কোনও নথি নেই। অনেকেই অন্য রাজ্যে থেকে এখানে এসেছিলেন। এখনা তারা ৫০ বছর পুরনো কাগজপত্র পাবেন কোথা থেকে! দেশে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থা রয়েছে। কিন্তু সরকার কীভাবে এভাবে এত মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে!

আরও পড়ুন-আজও শহরে একাধিক প্রতিবাদ মিছিল, যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা যাত্রীদের

নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জী নিয়েও বিজেপি সরকারকে বেঁধেন বাঘেল। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ধর্মকে ব্যাবহার করা হচ্ছে।  সরকার বলছে, প্রতিবেশী তিন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরে আশ্রয় দেওয়ার জন্যই এই আইন করা হয়েছে।  কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, দেশের মুসলিমদের বিপদে ফেলতেই আনা হয়েছে এই আইন।

.