সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ছোটা রাজন-সহ ১০
২০১১-র ১১ই জুন বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের পওয়াইয়ে একটি শপিং মলের কাছে `মিড ডে`র ক্রাইম রিপোর্টার জ্যোতির্ময় দে-কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে ৯টি গুলি চালায় তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন। এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত জিগ্না ভোরা ও জোসেপ পলসেনকে বেকসুর খালাস করেছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।
২০১১-র ১১ই জুন বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের পওয়াইয়ে একটি শপিং মলের কাছে `মিড ডে`র ক্রাইম রিপোর্টার জ্যোতির্ময় দে-কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে ৯টি গুলি চালায় তারা। প্রথমে দাউদসঙ্গী ছোটা শাকিলের গ্যাংকে এই হত্যাকাণ্ডের জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। পরে সন্দেহের তালিকায় ঠাঁই পায় ছোটা রাজন গ্যাং। গ্রেফতার করা হয় ছোটা রাজনকে। ছোটা রাজনকে সাহায্য করেছে এই সন্দেহে জ্যোতির্ময় দে'র দুই সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। মোট ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। যদিও, তাদের মধ্যে ১ জন এখনও ফেরার। মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে গোত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মামলা চলার পর এদিন মুম্বইয়ের বিশেষ মকোকা (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট) আদালত রায়দান করল। এই মামলায় মোট ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
Gangster Chhota Rajan convicted in journalist Jyotirmay Dey murder case, while journalist Jigna Vora & Joseph Paulsen acquitted by MCOCA court in Mumbai. pic.twitter.com/6lNvxVrBsQ
— ANI (@ANI) May 2, 2018
২০১১-র নভেম্বরে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া টেলিফোন-সাক্ষাত্কারে জ্যোতির্ময় দে'কে হত্যার দায় স্বীকার করেছিল ছোটা রাজন। `ডি কোম্পানি`-ছুট এই মাফিয়া ডন জানায়, জ্যোতির্ময়ের বিভিন্ন লেখা পড়ে তার মনে হয়েছিল, মিড ডে-র এই রিপোর্টার দাউড ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজন। জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সতীশ কালিয়া, অভিজিত্ শিন্দে, অরুণ জনার্দন ডাকে, সচিন সুরেশ গায়কোয়াড়, অনিল ওয়াঘমাড়ে-সহ ছোটা রাজন গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজন ধৃত সদস্যকে জেরা করে জিগনা ভোরার ভূমিকা সম্পর্কে নিসংশয় হয় মুম্বই পুলিস। ওই বছরই ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় সিনিয়র সাংবাদিক ভোরাকে।