মালিগাঁও মামলায় আংশিক স্বস্তি সাধ্বী-পুরোহিতের

মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট ১৯৯৯ (এম সি ও সি এ) এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-র ১৭, ২০ এবং ১৩ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা অফিসার পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ ৪ জনকে। 

Updated By: Dec 27, 2017, 07:51 PM IST
মালিগাঁও মামলায় আংশিক স্বস্তি সাধ্বী-পুরোহিতের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: আংশিক মুক্তি পেলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত প্রসাদ পুরোহিত এবং সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সংগঠিত অপরাধ বিরোধী আইনে বুধবার তাঁদের অব্যহতি দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ আদালত। তবে,  ষড়যন্ত্র বিষয়ক চার্জশিটের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।

মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট ১৯৯৯ (এম সি ও সি এ) এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-র ১৭, ২০ এবং ১৩ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা অফিসার পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ ৪ জনকে। তবে, ইউএপিএ-র ১৮ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় তাঁদের বিচার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়ে দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। তবে মুম্বইয়ের এই দায়রা আদালত ৩ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে। এর আগেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের চূড়ান্ত চার্জশিটে  এই ৩ অভিযুক্তকে (শিবনারায়ণ কলসংগ্র, শ্যাম শাহু, প্রবীণ টাক্কালকি) ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছে। অন্যদিকে এই মামলায় অভিযুক্ত রাকেশ ধাওড়ে, জগদীশ মাহাত্রেকে শুধুমাত্র অস্ত্র আইন ছাড়া বাকি সব অভিযোগ থেকেই অব্যহতি দেয় আদালত।

আরও পড়ুন- ভারতের হুমকিতে শিক্ষা হবে না প্রতারক ‘পাকিস্তানের’, কুলভূষণ ইস্যুতে সুর চড়াল শিবসেনা

প্রসঙ্গত, সোমবার মালেগাঁও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়কে জামিন দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অগস্টে লেটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতকেও শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধেও প্রাথমিকভাবে কোনও প্রমাণ না মেলায় এপ্রিলে তাঁকে জামিন দেয় বম্বে হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওর নুরাজি মজসিদের কাছে একটি বাইকে বিস্ফোরণে ৬ জন মারা যায়। আহত হন একশোর বেশি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সকলেই ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনের সদস্য। এই প্রসঙ্গে পুরোহিতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী চর হিসাবে এই সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন কর্নেল পুরোহিত। পুরোহিতকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে বিস্ফোরণ কাণ্ডের বাইকটি সাধ্বী প্রজ্ঞার নামে নথিভুক্ত ছিল বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে, ওই অভিযোগ উড়িয়ে সাধ্বীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বাইকটি ২০০৪ সালে বিক্রি করে দিয়েছিলেন সাধ্বী। সেই নথিও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী।

আরও পড়ুন- কোটিপতি-অভিযুক্ত-মাধ্যমিক পাশ, গুজরাট মন্ত্রিসভায় সবাই হাজির! 

.