দীর্ঘ আলোচনার পর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হলেন সনিয়া গান্ধী

সনিয়ার হাত থেকে ব্যাটন নিয়েছিলেন রাহুল। 

Updated By: Aug 10, 2019, 11:50 PM IST
দীর্ঘ আলোচনার পর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হলেন সনিয়া গান্ধী

নিজস্ব প্রতিবেদন: নানা আলোচনা-জল্পনার পর কংগ্রেস সভানেত্রী হিসেবে সনিয়া গান্ধীর নামেই শিলমোহর দিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে শতাব্দী প্রাচীন দলের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর সনিয়া গান্ধীকেই ফের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন ওয়ার্কিং কমিটির নেতারা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ঘোষণা করেন, কংগ্রেসের নতুন সভানেত্রী হচ্ছেন সনিয়া গান্ধী।  

লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তাঁকে সর্বসম্মতিভাবে ইস্তফা থেকে বিরত করা হয় বলে দাবি করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। কিন্তু তিনি অনড় থাকেন। এরপরই অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে সনিয়া গান্ধীকে বেছে নেয় ওয়ার্কিং কমিটি। তা স্বীকার করে নেন সনিয়া গান্ধী। সাংবাদিক বৈঠকে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, 'রাহুল গান্ধীর অভূতপূর্ব নেতৃত্বের জন্য ওনার প্রশংসা করেছেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। সভাপতি হিসেবে পরিশ্রমী ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রতি মুহূর্তে দেশের কৃষক, ছোট ছোট ব্যবসায়ী, সংখ্যালঘু, মহিলা, আদিবাসী ও সমাজের গরিব মানুষের আওয়াজ হয়ে উঠেছেন। দেশে হিংসার পরিবেশের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসকে একটা নতুন দিশা দিয়েছে রাহুল গান্ধী। বঞ্চিত ও শোষিতদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছেন।'

সকালে বৈঠকে আলোচনার পরও সভাপতি বাছতে পারেনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। রাত ৮টায় ফের বৈঠকে বসে তারা। নতুন সভাপতি বাছতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে ৫টি ছোট কমিটিতে ভাঙা হয়। প্রত্যেক কমিটিকে দলের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কথা বলে রাত ৮টার মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সভাপতি পদ নিয়ে আলোচনায় বৈঠক ছেড়ে চলে যান সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। সভাপতি হিসেবে সনিয়া ঘনিষ্ঠ মুকুল ওয়াসনিকের নাম উঠে আসছিল। আরও একটা মহল থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে নামও ভাসছিল। 

২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৯ সালে তারা পায় ৫২টি আসন। এরপরই দায় স্বীকার করে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁকে পদত্যাগ থেকে বিরত থাকার জন্য আবেদন করেন কংগ্রেস নেতারা। শেষপর্যন্ত রাহুলের ইস্তফা স্বীকার করে বেছে নেওয়া হয় সনিয়া গান্ধীকে। প্রশ্ন উঠছে, এত আলোচনার পরও গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে পেল না কংগ্রেস?  

আরও পড়ুন- কূটনীতিতে বাজিমাত ভারতের, রাষ্ট্রসঙ্ঘ তো বটেই, কাউকেই পাশে পেলেন না ইমরান

.