দাবি, চাই দিল্লি পুলিসের উপর কর্তৃত্বের অধিকার, রেল ভবনের সামনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ধরনা দ্বিতীয় দিনে পা বাড়াল

সকাল থেকে ফের ধরনায় বসেছে আম আদমি পার্টি। পৌনে আটটা নাগাদ রেল ভবনের সামনে ব্যারিকেড ভাঙতে যান স্বয়ং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রেল ভবনের সামনে ফুটপাতেই রাত কাটিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে রাইসিনা রোডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তিনি। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লি পুলিসের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাত থেকে দিল্লি সরকারের হাতে তুলে না দিলে প্রজাতন্ত্র দিবসের পর লক্ষ মানুষ দিল্লির রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সামনে আপের বিক্ষেভ কর্মসূচী ঘিরে সকাল থেকেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। পুলিসের পাশাপাশি রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। নিয়ে আসা হয়েছে জল কামান। কার কথা শুনবে দিল্লি পুলিস? সেই প্রশ্ন নিয়েই গতকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আম আদমি পার্টি। এর মধ্যেই সত্ পুলিস অফিসারদের ছুটি নিতে বলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jan 21, 2014, 09:14 AM IST

সকাল থেকে ফের ধরনায় বসেছে আম আদমি পার্টি। পৌনে আটটা নাগাদ রেল ভবনের সামনে ব্যারিকেড ভাঙতে যান স্বয়ং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রেল ভবনের সামনে ফুটপাতেই রাত কাটিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে রাইসিনা রোডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তিনি। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লি পুলিসের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাত থেকে দিল্লি সরকারের হাতে তুলে না দিলে প্রজাতন্ত্র দিবসের পর লক্ষ মানুষ দিল্লির রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সামনে আপের বিক্ষেভ কর্মসূচী ঘিরে সকাল থেকেই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। পুলিসের পাশাপাশি রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। নিয়ে আসা হয়েছে জল কামান। কার কথা শুনবে দিল্লি পুলিস? সেই প্রশ্ন নিয়েই গতকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আম আদমি পার্টি। এর মধ্যেই সত্ পুলিস অফিসারদের ছুটি নিতে বলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

কার কথা শুনবে দিল্লি পুলিস? সেই প্রশ্ন নিয়েই এবার রাজধানীর পথে দিল্লি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মানা এই মুহূর্তে অসম্ভব। তাঁর যুক্তি, উগান্ডার নাগরিকদের ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের তদন্ত চলছে। আর, আপের বিক্ষোভ নিয়ে কার্যত একসুর কংগ্রেস আর বিজেপির। তাদের কটাক্ষ,সরকারের কাজ ফেলে তামাশা করছেন কেজরিওয়ালরা। অনড় আপও জানিয়ে দিয়েছে, দাবি না মানা পর্যন্ত ধরনা চলবে।

উগান্ডার কয়েকজন নাগরিক নাকি ড্রাগ আর দেহব্যবসা চালাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ তুলে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লির আইনমন্ত্রী। পুলিস শোনেনি। বলেছিল তাদের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। আর এতেই বেজায় চটেছে দিল্লি সরকার। কার কথা শুনে চলবে দিল্লি পুলিস? এই প্রশ্নটাকে সামনে রেখেই সোমবার তুমুল বিক্ষোভ দেখাল আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি, আইনমন্ত্রীর কথা না শোনায় তিন পুলিসকর্মীকে শাস্তি দিতে হবে। উদ্দেশ্য ছিল সেই বিক্ষোভের ঢেউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পর্যন্ত পৌছে দেওয়া। প্রশাসন তা হতে দেয়নি। রেল ভবনের কাছেই আটকে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। আর সেখানে দাঁড়িয়েই হুমকি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য পত্রপাঠ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।

পথে নেমে আপের বিক্ষোভ। সমালোচনায় একসুর কংগ্রেস আর বিজেপির।

কংগ্রেস আর বিজেপির তোপ, ক্ষমতায় এসে কাজের কাজ না করে তামাশা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশই চলে দিল্লি পুলিস। সেক্ষেত্রে কেজরিওয়ালদের দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন।

.