অমিত-উদ্ধব বৈঠকই সার, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হচ্ছে না শিবসেনার

২০১৯-এ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা চায় মুখ্যমন্ত্রীর আসন। আ তার বদলে লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই।

Updated By: Jun 7, 2018, 07:07 PM IST
অমিত-উদ্ধব বৈঠকই সার, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হচ্ছে না শিবসেনার

নিজস্ব প্রতিবেদন: দু'ঘণ্টার বৈঠকেও চিড়ে ভিজল না। জোট নিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পরও, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিল এনডিএ শরিক শিবসেনা। বেশ কছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে শিবসেনার। সেই দূরত্ব ঘোচাতে 'বড়ভাই' নিজেই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে সাড়া দিল না 'ছোটভাই'।

বুধবার মুম্বইয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। শিবসেনা প্রধানের বাসভবন মাতশ্রীতে প্রায় দু'ঘণ্টা ছিলেন বিজেপির শাহ। এখানেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে বাইরে বসিয়ে রেখে ১৫ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠক সারেন উদ্ধব-অমিত। তবে, সেখানে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা খোলসা করেননি কোনও নেতাই। যদিও বিজেপির তরফে বুধবারই দাবি করা হয়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।

আরও পড়ুন- দলের মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে রেখে উদ্ধবের সঙ্গে 'সেটিং' অমিতের?

সূত্রের খবর, মোদীর নির্দেশ, যেভাবেই হোক শিবসেনাকে এনডিএ-তে ধরে রাখতে হবে। তাই দফায় দফায় আক্রমণের পরও বুধবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অমিত শাহ।

সূত্রের খবর, ২০১৯-এ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা চায় মুখ্যমন্ত্রীর আসন। আ তার বদলে লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। যদিও, সেই সূত্র মেনে নেওয়া বিজেপির পক্ষে 'কঠিন'। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এই সমস্যা সমাধানেই শাহ-ঠাকরে কাছাকাছি এসেছেন।

বৃহস্পতিবার শিবসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিতে একাই লড়াই করবে তারা। কোনও পরিস্থিতিতেই সেখানে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা তারা করবে না।এদিকে, কংগ্রেসের তরফে নেওয়া হল অন্য অবস্থান। তাদের তরফে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি-কে সমর্থনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এনডিএ শরিক শিরোমনি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল এদিন বলেন, আমাদের এখন কঠিন সময়। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত এনডিএ-র প্রতিটি শরিককে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আর তাতেই রোখা সম্ভব হবে বিরোধী জোটকে। 

.