হিরের বাজারে মন্দা, বন্ধ হচ্ছে কোম্পানি, সুরাতে রোজ কর্মহীন হচ্ছেন শ্রমিকরা

এক বছর আগে, ভারতের হিরের রাজধানী সুরাত খবরের শিরোনামে এসেছিল অভিনব এক কারণে। সে শহরের পৃথিবীর অন্যতম বড় হিরে পালিসকারি কোম্পানি শতাধিক কর্মীকে বোনাসের সময় উপঢৌকনে ভরিয়ে দিয়েছিল। ফিয়াট গাড়ি থেকে গয়না এমনকি আপার্টমেন্ট, কী ছিল না সেই লিস্টে?  

Updated By: Sep 8, 2015, 11:47 AM IST
হিরের বাজারে মন্দা, বন্ধ হচ্ছে কোম্পানি, সুরাতে রোজ কর্মহীন হচ্ছেন শ্রমিকরা

ওয়েব ডেস্ক: এক বছর আগে, ভারতের হিরের রাজধানী সুরাত খবরের শিরোনামে এসেছিল অভিনব এক কারণে। সে শহরের পৃথিবীর অন্যতম বড় হিরে পালিসকারি কোম্পানি শতাধিক কর্মীকে বোনাসের সময় উপঢৌকনে ভরিয়ে দিয়েছিল। ফিয়াট গাড়ি থেকে গয়না এমনকি আপার্টমেন্ট, কী ছিল না সেই লিস্টে?  

কিন্তু এই বছর ছবিটা একেবারে ভিন্ন। 'ম্যাজিক' বোনাসের কোনও সম্ভাবনাই এই মুহূর্তে নেই। পৃথিবীর ৮০% হিরেই যেখানে পালিস হয়, সেই শহরে এর মধ্যেই ৫ হাজার হিরে শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। শতাধিক কর্মহীন। 

কারণ একতাই। ভারতের পালিস করার হিরের অন্যতম বড় বাজার ছিল চিন। এই মুহূর্তে চিনের ক্রেতারা সরে আসছেন অনেক টাকা খরচ করে দামি হিরের গয়না কেনা থেকে। যার ফলে বিকোচ্ছে না হিরে বা হিরের গয়না। অবিক্রিত হয়ে গোডাউনে জমছে সব কিছু। 

ব্যবসায়ীদের দাবি লক্ষ লক্ষ টাকার চুক্তি থেকে পিছু হচ্ছে চিনা গয়না ব্যবসায়ীরা। 

সুরাতের প্রায় ৬টি হিরে কোম্পানি এই মুহূর্তে বন্ধ  হয়ে গেছে। ভারতের হিরে কোম্পানিগুলোতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। শুধুমাত্র সুরাতেই আছেন দুই তৃতীয়াংশ শ্রমিক। এই মুহূর্তে এইভাবে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে রোজ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়া। যে দেশে এমনিতেই বন্ধ কারখানার সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, শ্রমিকদের জীবন এমনিতেই অসুরক্ষিত, বেকারত্ব জ্বলন্ত সমস্যা, সে দেশে এভাবে হিরের মত আপাত লাভজনক শিল্পেও এই মন্দার ফলাফল যে কী ভয়ানক হতে পারে সেটা বোঝা খুব কঠিন নয়। 

এইভাবে হিরে ব্যবসায় মন্দা নেমে এলে এবং শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়লে তার প্রভাব দেশীয় অর্থনীতিতে পড়বেই। সেই আশঙ্কাই কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে ওয়াকিবহল মহলের। 

.