রোগীর ওষুধ পরীক্ষা করতে গিয়ে তা খেয়েই কোমায়, ৯ বছর পর মৃত্যু হল সেই ডাক্তারের
ওষুধটা ঠিক আছে কী! খুব দামী এই ওষুধটা খেয়ে হাড়ের সমস্যায় ভোগা এক রোগিনী জ্ঞান হারিয়েছেন। অথচ ডাক্তারবাবু বলেচিলেন এটা খেলেই সেরে যাবে। ডাক্তারের কাছে অভিযোগ নিয়ে হাজির রোগীর পরিবার। তাই ডাক্তারবাবু নিজেই ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে দেখতে খেয়ে ফেললেন। তারপর... ওষুধের মারাত্মক প্রতিক্রিয়ায় জ্ঞান হারিয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন এক আয়ুর্বেদ চিকিত্সক। আজ থেকে ৯ বছর আগে।
ওয়েব ডেস্ক: ওষুধটা ঠিক আছে কী! খুব দামী এই ওষুধটা খেয়ে হাড়ের সমস্যায় ভোগা এক রোগিনী জ্ঞান হারিয়েছেন। অথচ ডাক্তারবাবু বলেচিলেন এটা খেলেই সেরে যাবে। ডাক্তারের কাছে অভিযোগ নিয়ে হাজির রোগীর পরিবার। তাই ডাক্তারবাবু নিজেই ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে দেখতে খেয়ে ফেললেন। তারপর... ওষুধের মারাত্মক প্রতিক্রিয়ায় জ্ঞান হারিয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন এক আয়ুর্বেদ চিকিত্সক। আজ থেকে ৯ বছর আগে।
আরও পড়ুন- ছাগল নয়, কেক কেটে ঈদ পালনে মাতছে আরএসএস-এর মুসলিম মঞ্চ
২০০৭ সালে ওই আয়ুর্বেদ চিকিত্সকের জীবনে নেমে এসেছিল এমনই এক অভিশাপ। পাইপরা এলাকায় নিজের বাড়িতেই রোগী দেখাকালীন এভাবেই কোমায় আছন্ন হয়ে গিয়েছিলেন ডাঃ পি এ বৈজু। ৯ বছর বাদে ডাক্তার বৈজু মারা গেলেন। কেরালার ইডুক্কি জেলার বাইসন ভ্যালির সরকারি আয়ুর্বেদ ডিসপেনসারির মেডিকেল অফিসার পদে ছিলেন ডাঃ বৈজু।
স্থানীয় এক মহিলা ডাক্তার বৈজুর কাছে আসেন হাড় সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। বৈজু তাঁকে 'কাসায়াম' নামে একটি আয়ুর্বেদ ওষুধ লিখে দিয়ে বলেছিলেন, এটা খেলে সেরে যাবে। ওষুধের দোকান থেকে কেনা সেই ওষুধ খেয়ে ওই মহিলা জ্ঞান হারিয়েছিলেন। মহিলার পরিবার সে কথা ডাঃ বৈজুকে জানান। তিনি তাঁদের বলেন, ওষুধটি নিয়ে আসতে। ওষুধটা ক্ষতিকর নয় এটা বলে ডাক্তারবাবু তিনি নিজেই সেটা খেয়ে নেন। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যান তিনি। আর বেঁচে ফেরা হল না তাঁর।