আগের সরকারকে দূষে লাভ নেই, আজও কিছুই পাল্টায়নি: যশোবন্ত সিনহা

Updated By: Sep 28, 2017, 04:45 PM IST
আগের সরকারকে দূষে লাভ নেই, আজও কিছুই পাল্টায়নি: যশোবন্ত সিনহা

নিজস্ব প্রতিবেদন: "আমরা পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নীতি পঙ্গুত্বের জন্য সমালোচনা করে থাকি...কিন্তু ক্ষমতায় আসার ৪০ মাস পরেও আমরা এভাবে আগের সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারি না", 'এবার আমার মুখ খোলা প্রয়োজন' শীর্ষক কলামে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপকে তুলোধনা করেছেন বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিনহা। পদ্ম শিবিরের এই প্রবীণ নেতার সমালোচনার মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই রক্ষণে নেমেছেন 'এই প্রজন্মের' রাজনাথ সিং এবং পীযুষ গোয়েল। তবে, দলের বর্তমান প্রজন্ম 'সমালোচক' যশবন্তের সমালোচনা করলেও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের মতামতের প্রতি তাঁর অনড় অবস্থানের কথা।

জেটলির নেতৃত্বাধীন অর্থমন্ত্রকের কার্যকলাপকে চূড়ান্ত 'অপরিনামদর্শী' বলে উল্লেখ করেছেন ৭৯ বছর বয়সী প্রাক্তন মন্ত্রী। বিগত তিন বছরের নিরিখে বর্তমান বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার যে সবচেয়ে তলানিতে (৫.৭) তা তুলে ধরে নিজের আক্রমণ আরও ধারাল করতে চেয়েছেন যশোবন্ত। পাশাপাশি, তড়িঘড়ি করে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করার কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তকেও এক হাত নিয়েছেন যশবন্ত সিনহা। তাঁর মতে, এর ফলে দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্র রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কিন্তু পিতা যাই বলুন, তাঁর সঙ্গে সহমত নন তাঁরই পুত্র। 'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র একটি আর্টিক্যালে আজ যশোবন্তের পুত্র তথা মোদী সরকারের মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা তাঁর পিতার মতামতের বিষয়ে লিখেছেন, "সঙ্কীর্ণ ঘটনাবলীর উপর আলোকপাত করে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। আর এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর মৌলিক সংস্কার সাধনের মাধ্যমে যে রূপান্তর ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তা বিবেচনা করা হয়নি"।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠিত হওয়ার সময় থেকেই গুরুত্ব হারাতে শুরু করেন বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। মোদী সরকারের সমালোচকের ভূমিকায় অবশ্য এবারই প্রথম মুখর হয়েছেন যশোবন্ত এমনটা নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি সরকারি পদক্ষেপের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন। এদিকে পাটনার ভূমিপুত্র যশোবন্তের এই সমালোচনাকে দু'হাত তুলে সমর্থন করেছেন বিহারিবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাও। বলিউডের একদা নামজাদা এই অভিনেতা মনে করেন, যশোবন্তের বলা প্রতিটি শব্দই দলীয় সংঙ্কীর্ণতার উর্দ্ধে জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে বলা। আর এখানেই সুচতুরভাবে শ্লেষ যোগ করেছেন বিদ্রহী সাংসদ শত্রুঘ্ন। তাঁর মতে, যশোবন্ত সিনহা প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আদর্শকেই তুলে ধরেছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদী বারংবারই দলীয় পরিসরে দল অপেক্ষা দেশের স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বর্তমানের প্রতি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর তীক্ষ্ণ সমালোচনায় পদ্ম শিবির যে রীতিমত অস্থির তা সুস্পষ্ট।

আরও পড়ুন- বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি চিকিত্সকদের অবসরের বয়সসীমা

.