গোয়ায় বিজেপির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সেই মোদী

বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির তিন দিন ব্যাপী বৈঠকের আজ দ্বিতীয় দিন। আজ সম্ভবত ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের কৈশল ও প্রধানমন্ত্রী দলীয় পদপ্রার্থীর বিষয়টি আলোচনা হতে চলেছে এই বৈঠকে। বৈঠকের আগে থেকেই কৌতুহলের কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী। অথচ জাতীয় পরিষদের বৈঠকে লালকৃষ্ণ আদবানীর অনুপস্থিতির জেরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।

Updated By: Jun 8, 2013, 09:35 AM IST

বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির তিন দিন ব্যাপী বৈঠকের আজ দ্বিতীয় দিন। আজ সম্ভবত ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের কৈশল ও প্রধানমন্ত্রী দলীয় পদপ্রার্থীর বিষয়টি আলোচনা হতে চলেছে এই বৈঠকে। বৈঠকের আগে থেকেই কৌতুহলের কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী। অথচ জাতীয় পরিষদের বৈঠকে লালকৃষ্ণ আদবানীর অনুপস্থিতির জেরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
শারীরিক অসুস্থতাকে অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে দাবি করলেও গোয়ায় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এল কে আদবানীর না থাকা নিয়ে গুঞ্জন কিন্তু থামছে না।
উপনির্বাচনে হার সত্ত্বেও বিহারে মোদী ম্যাজিকের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে জেডিইউ। বিজেপির পোস্টার বয়ের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং শরদ পওয়ারও। বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক শুরুর আগে থেকেই যাবতীয় জল্পনার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে তাঁর দলের অন্দরে টানাপোড়েন নতুন নয়। দলের একাংশ চাইছে রবিবারই মোদীকে বিজেপির প্রচার কমিটির প্রধান ঘোষণা করা হোক। ঠিক এই সময়ে দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে লালকৃষ্ণ আডবাণীর মত নেতার অনুপস্থিতি একরাশ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আডবাণী কর্মসমিতির বৈঠকে যেতে পারেন বলে জানা গেলেও, উমা ভারতী, বরুণ গান্ধী, যশবন্ত সিং, রবিশঙ্কর প্রসাদের মত নেতারা কিন্তু দুদিনের ওই সভায় থাকছেন না। মোদীক এড়াতেই কর্মসমিতির বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনুপস্থিতি বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস।
সম্প্রতি গুজরাতের উপনির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সময়ে বিহারে আসন হাতছাড়া হয়েছে নীতীশ কুমারের। বিহারের এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে জেডিইউকে মোদীর হাত ধরার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপির কিছু নেতা। পাল্টা জবাবে জেডিইউ জানিয়েছে, বিহারে কোনও নেতাকে আউটসোর্স করে আনার প্রয়োজন নেই।
মোদীর সাফল্য নিয়ে বিজেপির একাংশ যতই সরব হন না কেন বিরোধীরা কিন্তু তাতে কান দিতে নারাজ।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী ম্যাজিককেই তুরুপের তাস করতে চাইছে বিজেপির একটা বড় অংশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলের অন্দরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দ্বিধা কাটেনি। এই অবস্থায় রবিবার দলের প্রচার কমিটির দায়িত্ব মোদীকে দেওয়া হয় কিনা, তার দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।

.