মাথায় প্রবল চাপ, আজ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন কুমারস্বামী
শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী শিবিরের প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে যান। তাঁর সঙ্গে এদিন সাক্ষাত করেন কুমারস্বামী। তাঁদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়। ফোন করেন এইচ ডি দেবগৌড়া
নিজস্ব প্রতিবেদন: একমাস ধরে চলা রাজনৈতিক লড়াইয়ের অবসান। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয় কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন এইচ ডি কুমারস্বামী। পাশাপাশি দিনটিকে জনবিরোধী দিবস হিসেব পালন করছে সরকার গঠনে ব্যর্থ বিজেপি।
জোট সরকার চালানো যে খুব একটা সহজ হবে না তা নিজেই স্বীকার করেছেন কুমারস্বামী। মঙ্গলবার তিনি নিজেই বলেছেন, ‘জোট সরকার পাঁচ বছর চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ রয়েছে। এটা আমার জীবনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। খুব সহজে যে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারব তা মনে করছি না।’
আরও পড়ুন-পেট্রল-ডিজেলে জিএসটি লাগুর পক্ষে জোর সওয়াল করলেন ইন্ডিয়ান অয়েলের চেয়ারম্যান
এনিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসছেন কুমারস্বামী। তবে এবার তাঁর উপরে চাপ অনেকটাই বেশি প্রধাণতা দুটি কারণে। প্রথমত, ১০৪টি আসন নিয়ে জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তারা বলেই দিয়েছে সরকার চালাতে তারা প্রবল বাধার সৃষ্টি করবে। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের সঙ্গে মানিয়ে চলা।
সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ২২-১২ ফরমুলাতেই শেষপর্যন্ত কুমারস্বামীকে রাজী করিয়েছেন কংগ্রেস। ৩৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন ২২ জন। অন্যদিকে, জেডিএস থেকে মন্ত্রী করা হচ্ছে ১২ জনকে। উপমুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে কংগ্রেসের দলিত নেতা জি পরমেশ্বরকে। স্পিকারের পদটিও যাচ্ছে কংগ্রেস শিবিরে। ডেপুটি স্পিকারের হচ্ছেন জেডিএস শিবির থেকে।
কুমারস্বামীর শপথ উপলক্ষ্যে আজ কর্ণাটক বিধানসভাভবন বিধানসৌধ প্রাঙ্গনে উপস্থিতি থাকবেন দেশের একঝাঁক বিরোধী নেতা। বলা যেতে পারে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রাখলে কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠান বিরোধী ঐক্যের একটি প্রদর্শনী।
আরও পড়ুন-দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে পুলিসের গুলি, তুতিকোরিনে হত কমপক্ষে ৯
বিরোধী শিবিরের প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে যান। তাঁর সঙ্গে এদিন সাক্ষাত করেন কুমারস্বামী। তাঁদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়। ফোন করেন এইচ ডি দেবগৌড়া। মমতা ছাড়াও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকছেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পিনারাই বিজয়ন। এছাড়াও থাকছেন সীতারাম ইয়েচুরি, তেজস্বী যাদব, ফারুক আবদুল্লা। অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীরও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।