হার্দিক ফ্যাক্টর কি আদৌ কাজ করল? উত্তর খুঁজছে কংগ্রেস

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, রাহুল গান্ধী, হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকোর কিংবা জিগ্নেশ মেবানি একসঙ্গে জোট করে নতুন রসায়ন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। 

Updated By: Dec 18, 2017, 07:57 PM IST
হার্দিক ফ্যাক্টর কি আদৌ কাজ করল? উত্তর খুঁজছে কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেল ৪টে পর্যন্ত বিজেপির ঝুলিতে ৪৯.১ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের পকেটে ৪১.৪ শতাংশ। স্বভাবতই গুজরাটের এই ফলাফল ষষ্ঠবারের জন্য সরকার গড়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বিজেপিকে। তবে গতবারের তুলনায় এবার ৩ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে যে ভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তুলেছিল কংগ্রেস এবং সেই হাওয়ার অভিমুখ বিচার করে যা মনে হয়েছিল মেলেনি সেই হিসাব। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল ১০০-১১০ আসন নিশ্চিত করতে পারবে হার্দিক প্যাটেলের সমর্থন পুষ্ট কংগ্রেস। কিন্তু, সেই অঙ্ক ভেস্তে গেল কীভাবে? হার্দিক প্রভাব কি ইভিএম-এ আদৌ পড়েছে? নিশ্চিতভাবেই ২৪ আকবর রোডে এই পরাজয়ের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে  এই দিকটা চর্চা হবে। কিন্তু তার আগে দেখা যাক কী বলছে আজকের ফল-

ভোটে কারচুপির অভিযোগ আগেই করেছিলেন হার্দিক প্যাটেল। গুজরাটের ফল বেরনোর পর সেই কথার নড়চড় না করে হার্দিক বলেন, “বিজেপি বেইমানি করে জিতেছে।” পতিদার সংরক্ষণে গুজরাটে যে সব জায়গায় আন্দোলন জোরদার হয়েছে, তার মধ্যে আমেদাবাদ, গান্ধীনগর, মাহেসানা, রাজকোট, সুরাট, মোরবী অন্যতম। শুধুমাত্র সৌরাষ্ট্রেই পতিদার আন্দোলনের প্রভাব দেখা গিয়েছে।  উত্তর গুজরাটে প্রত্যাশামতো সেই প্রভাব পড়েনি।

আরও পড়ুন- প্রেমের পরাজয়, হিমাচলের মসনদে কে?

গুজরাটের মোট জনসংখ্যার ১২.৩ শতাংশ প্যাটেল সম্প্রদায়ভুক্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪-তে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, সে সময় থেকেই শুরু হয় গুজরাটে বিকল্প রাজনৈতিক সমীকরণ। দানা বাঁধতে থাকে পতিদার আন্দোলন। অল্পদিনের মধ্যেই হার্দিক হয়ে ওঠেন পতিদারদের মুখ। বিজেপি কিন্তু মোদীর বিকল্প গুজরাটে তৈরি করতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় দফার শেষ দিন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীকেই রোড শো করতে হয়। প্রথম দফায় হার্দিক প্যাটলেরা ফায়দা তুলতে পারলেও দ্বিতীয় দফায় মোদী একাই সে ঝড় রুখে দিয়েছেন বলে মন করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তবে এবারের ভোটে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব প্যাটেলদের মন জয় করতে পারেননি হার্দিক, এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, রাহুল গান্ধী, হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকোর কিংবা জিগ্নেশ মেবানি একসঙ্গে জোট করে নতুন রসায়ন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গুজরাটে মোদীর ইমেজকে ভাঙতে ঐক্যবদ্ধ লাঠির দরকার ছিল, সেখানে কোথাও রাহুল, হার্দিক কিংবা জিগ্নেশ নিজস্ব পথে ভোটের হাওয়া ঘুরিয়েছে। তারই ফায়দা তুলেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- গুজরাট জিতলেও নিজের শহরেই হারলেন নরেন্দ্র মোদী

গুজরাট রায় বেরনোর পর অমিত শাহ বলেছেন, “জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে। জাতপাতের রাজনীতি করেছে কংগ্রেস।” যদিও উন্নয়নকেই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

.