তেজপ্রতাপের হুমকির মুখে সুশীল মোদীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে বদল
বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পৈতৃক বাড়ির অদূরে শাখা ময়দানকে বেছে নিয়েছিল মোদী পরিবার। লালুপুত্রের বেনজির হুমকির মুখে 'অপ্রীতিকর ঘটনা'র আশঙ্কায় মোদী পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠান শাখা ময়দানের পরিবর্তে ভেটেরনারি কলেজ গ্রাউন্ডে সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুশীল মোদীর ছেলের বিয়েতে আমন্ত্রণের পাল্টা হুমকি দিয়ে চূড়ান্ত অসৌজন্যের নজির গড়েছিলেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। এবার সেই হুমকিতে 'গুরুত্ব' দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন করতে 'বাধ্য হল' সুশীল মোদীর পরিবার।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা সে রাজ্যের বিজেপির প্রধান মুখ সুশীল কুমার মোদীর ছেলে উত্কর্ষ মোদীর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পৈতৃক বাড়ির অদূরে শাখা ময়দানকে বেছে নিয়েছিল মোদী পরিবার। কিন্তু, সুশীল মোদী এই বিবাহ অনুষ্ঠানে লালুপ্রসাদের পরিবারকে আমন্ত্রণ করাতেই অপ্রত্যাশিতভাবে হিংসা ছড়ানোর হুমকি দেন বিহারের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। তিনি বলেন, "আমি ওখানে গেলে ওর (সুশীল মোদী) বাড়িতে ওকেই মারব...সব জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেব। তাহলেই লোকে বুঝবে, কি পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছে সে"। তেজপ্রতাপের দাবি, তাঁদের 'অপমানিত' করবে বলেই ছেলের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সুশীল কুমার মোদী। লালুপুত্রের এমন বেনজির হুমকির মুখে 'অপ্রীতিকর ঘটনা'র আশঙ্কায় মোদী পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠান শাখা ময়দানের পরিবর্তে ভেটেরনারি কলেজ গ্রাউন্ডে সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তেজপ্রতাপের হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পরিবর্তের এই সিদ্ধান্তকে দুঁদে রাজনীতিক সুশীল মোদীর 'স্টান্ট' বলে মনে করছে লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দল। আরও পড়ুন- অসৌজন্যের তেজ-প্রতাপ! বিয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আগুন লাগানোর হুমকি লালুপুত্রের
তেজপ্রতাপ যাদবের এমন চরম অশিষ্ট এবং অসৌজন্যমূলক মন্ত্বব্যের পরও লালু বা তাঁর দলের তরফ থেকে কোনও রকম সমালোচনা শোনা যায়নি। বরং লালু বলেন, সুশীল মোদীর চিন্তার কোনও কারণ নেই। তেজপ্রতাপ 'ওসব করবে না'। উল্লেখ্য, এর আগে টেলিভিশন চ্যানেলে লালুর হয়ে 'প্রত্যাশামতো ওকালতি' করতে না পারায় দলীয় বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে। তবে এবার বিয়ের আমন্ত্রণের প্রত্যুত্তরে হিংসা ছড়ানোর হুমকি দিয়ে সৌজন্য বোধের সব সীমা অতিক্রম করেছেন তিনি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।