প্রত্যাশা ছাপিয়ে রেকর্ড আর্থিক বৃদ্ধি, দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থনীতিতে চিনকে পিছনে ফেলল ভারত
২০১৪-১৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের পর রেকর্ড গড়ল আর্থিক বৃদ্ধি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। ২০১৪-১৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের পর রেকর্ড গড়ল আর্থিক বৃদ্ধি। এর পাশাপাশি দ্রুত বৃদ্ধির অর্থনীতিতে চিনের থেকে এগিয়ে থাকার ধারা বজায় রাখল ভারত। উত্পাদন ও ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্রের ভাল ফলে ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি।
অতিসম্প্রতি নোট বাতিল নিয়ে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আরবিআই। তারা জানিয়েছে, বিমুদ্রাকরণের পর বাতিল নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কের ঘরে। এনিয়ে মোদীকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, নোট বাতিল বড়সড় দুর্নীতি। ২৫-২০জন শিল্পপতি বন্ধুদের জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোট বাতিলের সুযোগে কালো টাকা বদল করে নিয়েছেন ওনার বন্ধুরা।
নোট বাতিল ও জিএসটি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি রোধ করেছে বলে দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। এমনকি সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতি উল্টো দিকে ঝাঁপ দিয়েছে। খেই হারিয়ে ফেলেছে আর্থিক বৃদ্ধি। এই প্রেক্ষাপটে আর্থিক বৃদ্ধির এহেন ফল মোদীর মুখের হাসি চওড়া করবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আর্থিক বৃদ্ধি স্বস্তি দিলেও ডলারের নিরিখে টাকার অবমূল্যায়ন উদ্বেগে রাখবে কেন্দ্রীয় সরকারকে । এই প্রথমবার প্রতি ডলার ৭১ টাকা ছুঁয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সামনের দিনে আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে আর্থিক বৃদ্ধির এই অপ্রত্যাশিত ফলকে হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে 'নতুন ভারতে'র প্রচার করছেন বিজেপি নেতানেত্রীরা।
India registers a GDP growth rate of 8.2% in Q1 FY 2018-19, continuing in the high growth trajectory. #NewIndiaNewMomentum pic.twitter.com/7u9OT1RdmV
— NITI Aayog (@NITIAayog) August 31, 2018
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য বলছে, উত্পাদন, বিদ্যুত ও গ্যাসের মতো ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে জুলাই সেপ্টেম্বরে জিডিপি-র হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। তারপর ফের শিখরে আর্থিক বৃদ্ধি। এই ত্রৈমাসিকে উত্পাদন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৫ শতাংশ হারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বর্ষায় ভাল বৃষ্টি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি খরচের জেরে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। তার জেরে বেড়েছে উত্পাদন।
আরও পড়ুন- নোটবন্দির বৃহত্তর লক্ষ্য কী ছিল? রাহুলকে বিঁধে জানালেন জেটলি