উপত্যকায় তিন পুলিস কর্মীর মৃত্যুর পর দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক খারিজ কেন্দ্রের
সকালে তিন পুলিস কর্মীর হত্যাকাণ্ডের পর সিদ্ধান্তে বদল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকা কথা দিয়ে ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল করল নয়াদিল্লি। শুক্রবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরে তিন পুলিস কর্মীকে অপহরণ করে নৃশসং হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক খারিজ করে দিল মোদী সরকার।
আগামী সপ্তাহের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে দু'দেশের বিদেশমন্ত্রীর আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই অনুরোধে সাড়া দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ঘোষণা করেন, আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। নিউইয়র্কে একটি বৈঠক রয়েছে, তবে ফের দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হচ্ছে না। সন্ত্রাস ও সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারে না বলে ফের স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রক।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর এদিন সকালেই জন্মু-কাশ্মীরে তিন পুলিস কর্মীকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে তাদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুদিন আগেই হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, অনলাইনে পদত্যাগ না করলে পুলিস কর্মীদের হত্যা করা হবে। বুধবারও সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপরেও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হয়েছিল কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছিল প্রশ্ন। যদিও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র স্পষ্ট করেছেন, সংলাপ ও বৈঠকের ফারাক রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও আলোচনা শুরু হচ্ছে না।২০১৫ সালে উরি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ রয়েছে আনুষ্ঠানিক আলোচনা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ইমরান খান। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, 'ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের অবসান চাইছেন দু'দেশের নাগরিকরা। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের মতো সমস্যার সমাধানে, মতপার্থক্যের অবসানে সেতুবন্ধন সমঝোতা করা দরকার'। বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ তুলে ইমরান লিখেছেন, 'দু'দেশের দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী'। এরপরই ইমরানের আবেদন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠক করলে আনুষ্ঠানিক আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। তবে নয়াদিল্লি স্পষ্ট করেছে, আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- মোদীর উদ্বোধনের আগেই মনে জিতে নিল সিকিমের বিমানবন্দর, দেখুন ছবি