চিন নয় উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনে মন মজেছে সিপিএমের
মার্কিন বিরোধিতায় দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পোস্টারের পর এবার কিমস্তুতি করে বিতর্কে জড়ালেন খোদ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিনের চেয়ে তিনি এগিয়ে রাখলেন উত্তর কোরিয়াকে।
কোঝিকোড়ের জেলা সম্মেলনে পিনারাই বিজয়ন বলেন, ''সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না চিন। তাদের চেয়ে মার্কিন বিরোধিতায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন চাপকে সফলভাবে প্রতিহত করতে পেরেছে তারা।''
"North Korea has been following tough anti USA agenda. North Korea has successfully defended the pressure imposed by US" said Kerala Chief Minister Pinarayi Vijayan at CPM Kozhikode district committee meeting (02.01.18) pic.twitter.com/6sj47sEefF
— ANI (@ANI) January 4, 2018
শুধু মু্খ্যমন্ত্রীই নন, উত্তর কোরিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কোট্টাম জেলায় দলের বৈঠকে উপস্থিত কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কোদিয়ারি বালাকৃষ্ণনও। তিনি বলেন, ''সেনাবাহিনীর শক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়িয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। সে দেশের সমাজতন্ত্র ধ্বংস করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।''
আরও পড়ুন- কেরলে সিপিএমের পোস্টারে কিম জং উন, টুইট করলেন সম্বিত পাত্র
গতমাসে কেরলে সিপিএমের পোস্টারে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়ক কিম জং উনের ছবি। তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবাদ দীর্ঘ কয়েক দশকের। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর দুই দেশের কথার লড়াই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইট করেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার চেয়েও পারমাণবিক হামলা চালাতে দক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন- ইজরায়েলের কাছ থেকে যুদ্ধাস্ত্র কেনার চুক্তি বাতিল করল ভারত
উল্লেখ্য, অতীতে বামপন্থীদের মুখে মুখে ফিরত 'চিনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান'। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় বামপন্থীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দেশ জুড়ে। সেসময় রাশিয়ার চেয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টিই বেশি পছন্দের ছিল বাম নেতাদের। তবে সেই চিন, আর এই চিন এক নয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন বৃহত্ শক্তি বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বনিবনা না হলেও ব্যবসায় কোনও প্রভাব পড়েনি তাদের। অনেকেরই মত, বামপন্থার সাবেক দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করে অন্য পথে চলে গিয়েছে চিন। এই চিনকে সম্ভবত তাই না-পসন্দ ভারতের বাম নেতাদের। আর সেজন্যই তাঁরা আঁকড়ে ধরেছেন উত্তর কোরিয়াকে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।