ফলক কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

ফলক কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাজকুমার গুপ্তাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস। শনিবার দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার ছায়া শর্মা জানান, রাজকুমার ছাড়াও ফলক কাণ্ডে জড়িত প্রতিমা নামে আরও এক মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Updated By: Feb 11, 2012, 03:06 PM IST

ফলক কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাজকুমার গুপ্তাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস। শনিবার দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার ছায়া শর্মা জানান, রাজকুমার ছাড়াও ফলক কাণ্ডে জড়িত প্রতিমা নামে আরও এক মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুবছরের শিশুকে নৃশংসভাবে নির্যাতনের অভিযোগে এই নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেহব্যবসা চক্রে যুক্ত রাহুল ও রাণা কুমার গুপ্তা নামে দুজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। দিল্লির বদরপুরের বাসিন্দা রাণা কুমার গুপ্তা পেশায় ড্রাইভার ও মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রাহুল পেশায় দর্জি। দুজনেই বেশ কয়েকটি শহরে দীর্ঘ দিন ধরে দেহব্যবসা চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। রাহুল ও রাণাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, একটি ১৫ বছরের নাবালিকাকে দেহব্যবসায় ঠেলে দেয় রাহুল, রাণা ও রাজকুমারের দ্বিতীয় স্ত্রী আরতি। এই ১৫ বছরের নাবালিকাই গত ১৮ জানুয়ারি ক্ষতবিক্ষত ফলককে এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। ফলকের গর্ভধারিণী মুন্নি খাতুনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।

মুন্নি পুলিসকে জানিয়েছে, সে অন্য একজনকে বিয়ে করেছে। ফলক-সহ তার আগের পক্ষের ৩ সন্তানকে গ্রহণ করেনি তার বর্তমান স্বামী।পশ্চিম দিল্লির উত্তমনগরে লক্ষ্মী নামে এক মহিলার বাড়িতে ফলককে রেখে আসে মুন্নি। লক্ষ্মী এরপর ওই দু'বছরের শিশুকে তুলে দেয় রাজকুমার হাতে। রাজকুমার তার নাবালিকা স্ত্রীর কাছে ফলককে রেখে মুম্বইয়ে চলে যায় নিজের আগের পক্ষের ছেলের চিকিত্সার জন্য। লক্ষ্মীকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ফলক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কান্তা চৌধুরি নামে এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অপরদিকে ২ বছরের ছোট্ট ফলক এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। এদিন চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারিরিক অবস্থা এখনও অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেটরেই রাখা হয়েছে। এদিন এইমস ট্রমা সেন্টারের চিকিত্সক দীপক আগরওয়াল জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ৪৮ ঘণ্টা কাটলে বোঝা যাবে বর্তমান চিকিত্সায় ফলক সাড়া দিচ্ছে কি না। ২ বছরের শিশুটির বুকে ও রক্তে সংক্রমণ কমানো গিয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্কে সংক্রমণ এখনও চিন্তার কারণ বলেও জানান চিকিত্সকরা। সংক্রমণের ফলে মস্তিষ্কে জমা তরল পদার্থ বার করার জন্য ফলকের স্পাইনাল কর্ডের সঙ্গে পাইপ লাগানো হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি মুখে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, হাত ভাঙা, মাথা থেঁতলানো অবস্থায় ২ বছরের শিশু ফলককে এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়।তার শরীরে মানুষের কামড়েরও ক্ষত পাওয়া যায়।     

.