লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা ৩ মার্চ, শিথিল হচ্ছে ভোটের প্রচার খরচের বিধিনিষেধ

লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে আগামী ৩ মার্চ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, এবছর ভোট হতে পারে মোট ছদফায়। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দফায় ভোট নেওয়া হতে পারে। মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কা মাথায় রেখে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তায়।

Updated By: Feb 19, 2014, 04:11 PM IST

লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে আগামী ৩ মার্চ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, এবছর ভোট হতে পারে মোট ছদফায়। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দফায় ভোট নেওয়া হতে পারে। মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কা মাথায় রেখে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তায়।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই বেজে গিয়েছিল লোকসভা ভোটের বাদ্যি। তারপর থেকে নিয়ম করে চলছে কংগ্রেস-বিজেপি আর আঞ্চলিক দলগুলির তরজা। এবার হতে চলেছে সেই মহাযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৩ মার্চ হতে পারে লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা

পঞ্চদশ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী একত্রিশে মে। সংবিধান অনুসারে, ওই সময়সীমায় মধ্যেই পরবর্তী লোকসভা গঠন করে ফেলতে হবে। সময়ে ভোট শেষ করার লক্ষ্যেই মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্ঘণ্ট প্রকাশে জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আরও জানা গেছে, দেশজুড়ে এবার মোট ছয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হতে পারেব পাঁচ দফায়।

দেশের মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ৮১ কোটি, যা দুহাজার নয়ের তুলনায় ৯ কোটি বেশি। দেশজুড়ে ৪০টি আসনে ভোট পরিচালনা করবেন শুধুমাত্র মহিলা কর্মীরা ।

ভোট প্রচারে খরচের ওপর বিধিনিষেধও খানিকটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, এবার লোকসভা আসন পিছু ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন কোনও প্রার্থী। এই অঙ্ক গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অনুমোদিত অর্থের থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বেশি।

যেসব রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হবে সেখানে আসন পিছু প্রচার খরচের ঊর্ধ্বসীমা ২৮ লক্ষ টাকা। বারো লক্ষ টাকা বাড়ানো হয়েছে এই অঙ্ক।

ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে মাওবাদী নাশকতার সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কমিশন। ভোট নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিপি। কমিশন সূত্রে খবর...

নিরাপত্তার নিরিখে লোকসভা আসনগুলিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করার কথা ভাবা হচ্ছে গণ্ডগোলের আশঙ্কা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে নিরাপত্তা রক্ষী মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট চায় কমিশন স্পর্শকাতর এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার পাশাপাশি চালানো হবে সিসিটিভি নজরদারিও

ভোটের নিরাপত্তায় পশ্চিমবঙ্গকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ দেশের বহু রাজ্যের তুলনায় এরাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ অনেক বেশি। এখানে ভোটে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগও নতুন নয়।

.