লাভ জিহাদ! সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রেমের জালে, দেওয়া হচ্ছিল ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ!

সেই মহিলা পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ের ধর্মান্তকরণের জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল ওই যুবক ও তাঁর বোন।

Updated By: Oct 16, 2020, 06:41 PM IST
লাভ জিহাদ! সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রেমের জালে, দেওয়া হচ্ছিল ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ!

নিজস্ব প্রতিবেদন- এবার লাভ জিহাদের একটি ঘটনা সামনে এল কানপুরে।সেখানে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাবালিকার মা অভিযোগ করেছেন, সেই যুবক নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে তাঁর মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। সেই যুবক ও তার বোন মিলে  নাবালিকার ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সপ্তম শ্রেণীর মেয়েটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই যুবক। তারপর তাকে নামাজ আদায়ের কায়দা কানুন শেখানো হয়। এমনকী কিভাবে আয়াত করতে হয় সেটাও শেখানো হচ্ছিল।

সেই মহিলা পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ের ধর্মান্তকরণের জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল ওই যুবক ও তাঁর বোন। সেই যুবকের সঙ্গেই সপ্তম শ্রেণীর ওই মেয়েটি একদিন ঘুরতে বেরোয়। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় মেয়েটির মা পুলিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে সেই যুবককে খুঁজে বের করে পুলিস। তাঁকে আটক করা হয়। পুলিসি জেরার মুখে সেই যুবক জানায়, তার নাম মহম্মদ ওবেস। ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সে। তাকে সবাই এলাকায় বাবু নামে চেনে বলেও জানায় সেই যুবক। নাবালিকার মা মহম্মদ ওবেস নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন-  রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কার নেওয়া ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন

নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির সামনে একটি খালি প্লটে গত কয়েক মাস ধরে বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। সেখানেই ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে ওই যুবক। কাজের মাঝে বারবার ঠান্ডা জল চাইতে তাঁদের বাড়িতে আসত বাবু নামের সেই যুবক। কিন্তু কোনদিনই নিজের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে কোনও কথা সে জানায়নি। এরপরই সপ্তম শ্রেণীর ওই মেয়েটির সঙ্গে সেই যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই নাবালিকার মা সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মেয়েটির বাবা গত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। ফলে মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন সেই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই সেই যুবক ও তার বোন মিলে তাঁর মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল। পুলিসি জেরার মুখে সেই যুবক সব কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সে জানিয়েছে, বোন মাহি হায়াতের সঙ্গে মিলে সে নাবালিকার ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছিল।

.