৮.৭৫ কোটি টাকায় নিলাম হল বিজয় মালিয়ার ২টি কপ্টার

সত্যেন্দ্র শেরাওত আরও জানান, মালিয়ার এই ইউরোকপ্টার (বি১৫৫) ২টি ১০ বছর পুরনো। পাঁচ আসন বিশিষ্ট এই কপ্টারগুলো মালিয়া কিনেছিলেন ২০০৮ সালে। ২০১৩ সালে এই কপ্টারগুলো শেষবার ব্যবহৃত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর এই কপ্টারগুলো মুম্বইয়ের জুহু বিমানবন্দরেই পড়েছিল।

Updated By: Sep 20, 2018, 11:47 AM IST
৮.৭৫ কোটি টাকায় নিলাম হল বিজয় মালিয়ার ২টি কপ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋণ খেলাপি 'লিকার ব্যারন' বিজয় মালিয়ার ব্যক্তিগত ২টি হেলিকপ্টার নিলাম করে ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আদায় করল ঋণ আদায়কারী ট্রাইবুনাল। বুধবার ট্রাইবুনাল নিজে দায়িত্ব নিয়ে কিংফিশার এয়ারলাইনসের কর্ণধার বিজয় মালিয়ার ২টি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার নিলাম করে। ওই হেলিকপ্টার ২টি ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কিনে নেয় চৌধুরী অ্যাভিয়েশন।

আরও পড়ুন- গণপিটুনির বিরোধিতা করে গোরক্ষায় সওয়াল ভাগবতের

দিল্লির এই সংস্থার ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র শেরাওত এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, “আমাদের কোম্পানি (চৌধুরী অ্যাভিয়েশন) মালিয়ার ২টি কপ্টার ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কিনেছে। বেঙ্গালুরুতে ডিআরটি-র (ঋণ আদায়কারী ট্রাইবুনাল) তরফে নিলামের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এক একটি কপ্টার ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছে আমাদের কোম্পানি”।

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে অজানা জ্বরের বলি ৭৯

সত্যেন্দ্র শেরাওত আরও জানান, মালিয়ার এই ইউরোকপ্টার (বি১৫৫) ২টি ১০ বছরের পুরনো। পাঁচ আসন বিশিষ্ট এই কপ্টারগুলো মালিয়া কিনেছিলেন ২০০৮ সালে। ২০১৩ সালে এই কপ্টারগুলো শেষবার ব্যবহৃত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর এই কপ্টারগুলো মুম্বইয়ের জুহু বিমানবন্দরেই পড়েছিল।

চৌধুরী অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই কপ্টারগুলো এখনও পরিষেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে। তাঁরা এই কপ্টারগুলো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করবে বলেই জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চৌধুরী অ্যাভিয়েশন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করে থাকে। সড়ক এবং বিমান – দুই পথেই  অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেয় তাঁরা। তবে নিলামে কেনা মালিয়ার কপ্টারগুলোকেও এই কাজে ব্যবহার করা হবে কি না, সেই নিয়ে কোনও কিছু খোলসা করেননি চৌধুরী অ্যাভিয়েশনের ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র শেরাওত।    

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দেশের ১৭টি ব্যাঙ্ক কিংফিশারের কর্ণধার বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপের মামলা দায়ের করে। যেখানে বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে নির্দিষ্টভাবে  ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগ করা হয়। জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে  কিংফিশার লিমিটেডের মালিক এই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন। পরে এই দায় নিয়েই দেশ ছাড়েন মালিয়া। এখন তিনি রয়েছেন লন্ডনে।

উল্লেখ্য, মালিয়া মামলায় প্রথম থেকে মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে  বিরোধীরা। সম্প্রতি লন্ডনে মালিয়া বলেন, দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। যদিও মালিয়ার এই দাবি অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন অরুণ জেটলি। কোনও বৈঠক হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এতে বিতর্কে থামেনি, উল্টে শাসককে মালিয়া ইস্যুতে আরও চেপে ধরেছে বিরোধীরা।  

.