‘হিজড়ার চেয়েও অধম মায়াবতী’, কুকথার তোড় বিজেপি নেত্রীর মুখে
মায়াবতীকে আক্রমণ করতে গিয়ে কুকথার বন্যা বইয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সাধনা সিং। রাজ্যে সপা-বসপা জোট সম্পর্কে বলতে গিয়ে মায়াবতী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন সাধনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়াবতীকে আক্রমণ করতে গিয়ে কুকথার বন্যা বইয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক সাধনা সিং। রাজ্যে সপা-বসপা জোট সম্পর্কে বলতে গিয়ে মায়াবতী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন সাধনা।
আরও পড়ুন-আজ ব্রিগেডের সভায় কী বার্তা দিলেন মমতা? দেখুন এক নজরে
এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুঘলসরাইয়ের বিধায়ক সাধনা সপা-বসপা নেতাদের ‘গেস্ট হাউস’ সংঘর্ষের কথা টেনে আনেন। ওই ঘটনায় মায়াবতী সহ বসপার অন্যান্য নেতাদের ওপরে সপা নেতারা হামলা করেন। ওই ঘটনায় মায়াবতীর ‘চিরহরণ’ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সাধনা। তিনি বলেন, মায়াবতীর কোনও আত্মমর্যাদা বোধ নেই। ওকে একপ্রকার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। এখনও তা হচ্ছে। আর এই মহিলা ক্ষমতার জন্য এখনও নিজের মর্যাদা বিক্রি করে চলেছেন। মহিলা সমাজের কলঙ্ক মায়া। একজন হিজড়া থেকেও খারাপ মায়াবতী।
#WATCH:BJP MLA Sadhna Singh says about BSP chief Mayawati, "jis din mahila ka blouse, petticoat, saari phat jaaye, wo mahila na satta ke liye aage aati hai. Usko pure desh ki mahila kalankit maanti hai.Wo to kinnar se bhi jyada badtar hai, kyunki wo to na nar hai, na mahila hai." pic.twitter.com/w3Cdizd8eR
— ANI UP (@ANINewsUP) January 19, 2019
এদিকে, ওই ঘটনার প্রবল প্রতিবাদ করেছে বসপা। দলের নেতা সতীশ মিশ্র বলেন, বসপা-সপা জোট বিজেপির জমি নাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি নেতাদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমাদের নেত্রী সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক যে কথা বলেছেন তাতে ওদের মানটা বোঝা যায়। বিজেপি এখন বসা-বসপা জোটকে ভয় পাচ্ছে। ওরা উত্তরপ্রদেশে একটা আসনও পাবে না। এই ধরেনর মানুষকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
আরও পড়ুন-সুযোগসন্ধানী’ শত্রুঘ্নর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজেপি!
সাধনা সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে অখিলেশ বলেন, মায়াবতীজিকে অপমান মানে আমাকেও অপমান। মায়াবতীর বিরুদ্ধে এই ধরনের কুকথা দেশের মহিলাদেরও অপমান। ওই ধরনের মন্তব্য বিজেপির অসহায়তা বুঝিয়ে দেয়।
মায়াবতীর বিরুদ্ধে ওই ধরনের মন্তব্যে চটেছে কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের তফাত থাকতে পারে। কিন্তু একজন মহিলার মুখ থেকে ওই ধরনের মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।