অচল নোটে কালো টাকা যাঁরা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন তাঁরা সাবধান

নোট বাতিলের পর এ বার টার্গেট বেনামি সম্পত্তি। অচল নোটে কালো টাকা যাঁরা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন তাঁরা সাবধান। সবরকম বেনামি সম্পত্তির মালিকদেরই সাবধান করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বেনামি সম্পত্তি আইন কঠোরভাবে বলবত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ধরা পড়লে সাত বছর জেল, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। হতে পারে সবই। কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযানে বাতিল পাঁচশো-হাজার। তাড়া তাড়া অচল নোট ব্যাঙ্কে জমা দিলেই আয়করের থাবায় ধরা পড়ার আশঙ্কা। সেই ফাঁদ এড়াতে কালো টাকার কারবারিরা ফন্দি এঁটেছেন। অচল নোটে নিজেদের কালো টাকা তাঁরা অন্য ব্যক্তিকে দিচ্ছেন। সেই ব্যক্তি ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করছেন। তৈরি হয়ে যাচ্ছে কালো টাকার বেনামি সম্পত্তি। ১৯৮৮ সালে বেনামি সম্পত্তি আইন পাশ হলেও এতদিন তা কার্যকর হয়নি। আইন সংশোধন করে গত পয়লা নভেম্বর থেকে তা চালু করেছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আইন শুধু আইনের বইয়ে থাকবে না। কঠোরভাবে তা বলবত করা হবে।

Updated By: Dec 26, 2016, 08:11 PM IST
অচল নোটে কালো টাকা যাঁরা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন তাঁরা সাবধান

ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিলের পর এ বার টার্গেট বেনামি সম্পত্তি। অচল নোটে কালো টাকা যাঁরা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন তাঁরা সাবধান। সবরকম বেনামি সম্পত্তির মালিকদেরই সাবধান করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বেনামি সম্পত্তি আইন কঠোরভাবে বলবত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ধরা পড়লে সাত বছর জেল, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। হতে পারে সবই। কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযানে বাতিল পাঁচশো-হাজার। তাড়া তাড়া অচল নোট ব্যাঙ্কে জমা দিলেই আয়করের থাবায় ধরা পড়ার আশঙ্কা। সেই ফাঁদ এড়াতে কালো টাকার কারবারিরা ফন্দি এঁটেছেন। অচল নোটে নিজেদের কালো টাকা তাঁরা অন্য ব্যক্তিকে দিচ্ছেন। সেই ব্যক্তি ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করছেন। তৈরি হয়ে যাচ্ছে কালো টাকার বেনামি সম্পত্তি। ১৯৮৮ সালে বেনামি সম্পত্তি আইন পাশ হলেও এতদিন তা কার্যকর হয়নি। আইন সংশোধন করে গত পয়লা নভেম্বর থেকে তা চালু করেছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি আইন শুধু আইনের বইয়ে থাকবে না। কঠোরভাবে তা বলবত করা হবে।

আরও পড়ুন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচের সিরিজে থাকবেন না এই ভারতীয় বোলাররা!

আয়ের উত্‍স না দেখিয়ে অন্য কারও নামে কেনা যে কোনও সম্পত্তিই বেনামি সম্পত্তি। আয়ের উত্স গোপন রাখলে, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের নামে কেনা সম্পত্তি এমনকি ভাই-বোন-অন্য আত্মীয়র সঙ্গে থাকা যৌথ সম্পত্তিও বেনামি সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা হবে। জমি, বাড়ি, নগদ টাকা, সোনা, শেয়ার সহ সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিই বেনামি সম্পত্তির আওতায় থাকছে। তাই সরকার বলছে, আয়করের হাত এড়াতে যাঁরা বেনামে জমি-বাড়ি কিনছেন বা অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখছেন, তাঁরা সকলেই সাবধান। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বেনামি সম্পত্তি লেনদেন ধরা পড়লে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আগের আইনে সর্বাধিক ৩ বছর পর্যন্ত হাজতবাসের সংস্থান ছিল। ৭ বছর হাজতবাসের পাশাপাশি সম্পত্তির মূল্যের ২৫% পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের কথা আইনে বলা হয়েছে। কোনওরকম ক্ষতিপূরণ না দিয়ে প্রয়োজনে বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথাও রয়েছে আইনে। ১ নভেম্বর থেকে বেনামি সম্পত্তি আইন চালু হওয়ায় নোট বাতিলের পর অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা বা অন্য যে কোনও বেনামি সম্পত্তি সংক্রাম্ত লেনদেন এই আইনের আওতায় আসবে। নোট বাতিলের ঘোষণার পর বিরোধীদের বড় অভিযোগ ছিল, হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি শুধুমাত্র টাকায় থাকে না। কালো টাকায় কেনা সম্পত্তি নিয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে? রবিবার মন কি বাতে বেনামি সম্পত্তি আইন কঠোরভাবে বলবত করার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী তারই জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন  বরুণ ধাওয়ানের গার্লফ্রেন্ডকে দেখেছেন কখনও?

.