কেরলকে কোনও অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়নি, জানিয়ে দিল আমিরশাহি
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেন, আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ নাইয়ান কেরলের জন্য ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য করতে চান
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের জন্য কোনও বিদেশি অর্থসাহায্য নেওয়া হবে না। একথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র। এনিয়ে কেরল সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে এখন সংঘাত চরমে।
কেরলকে ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য করতে চেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার। এমনটাই খবর রটেছিল। কেন্দ্র সেই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে। এবার সেই একই কথা জানিয়ে দেওয়া হল আমিরশাহি সরকারের তরফে। আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত আহমেদ আলবানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের পক্ষ থেকে কেরলকে কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্যের কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
অারও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল মেগা সিরিয়াল জট, শুক্রবার থেকেই শুরু শুটিং
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেন, আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ নাইয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কেরলের জন্য ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য করতে চান। এনিয়ে তিনি ট্যুইট করেও আমিরশাহি সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে দেন।
আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেরলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত তা ঠিক করার কাজ এখনও চলেছে। এই অবস্থা কোনও অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়নি।’ কেন্দ্রও একই কথা বলেছিল। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, আমিরশাহি সরকারের তরফ থেকে কোনও সাহয্যের প্রস্তাব আসেনি।
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিদেশি সাহায্য নেওয়ার প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে এনজিও বা ওই ধরনের কোনও সংস্থা সাহায্য করতে পারে। কেন্দ্র সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেরলের জন্য ৬০০ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সাহায্য দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-ধর্ষণের মামলায় দ্রুত বিচারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সওয়াল মোদীর
আমিরশাহি সরকারের তরফে যে কোনও অর্থসাহায্যের প্রস্তাব আসেনি তা বিজয়নের ঘোষণার পরই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেম বলা হয়েছিল। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, যদি এমন কোনও সাহায্যের প্রস্তাব এসে থাকে তা গ্রহণ করবে না কেন্দ্র। বিপর্যয় মোকাবিলায় বিগত উদাহরণ টেনে নিয়ে এসে ওই আধিকারিকের বক্তব্য, এর আগে এমন পরিস্থিতি বিদেশের সাহায্য নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, সুনামি এবং উত্তরাখণ্ডের বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করেনি তত্কালীন মনমোহন সিং সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, “এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষমতা ভারতের আছে। প্রয়োজন হলে সাহায্য চাইবে ভারত।” পরবর্তীকালে অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য নিতে হয়নি ভারতকে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২০ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন আরব আমিরশাহিতে। যা তাদের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এছাড়া সেখানে কেরলের অধিবাসীরাই সংখ্যায় বেশি। আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট টুইটে জানান, “কেরলের মানুষ আমাদের সঙ্গে বরাবর পাশে থেকেছেন। উন্নয়নের ভাগীদার হয়েছেন।”