দায় নিল না সরকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারকে বরখাস্তের দাবিতে তোলপাড় সংসদ
রবিবার এক অনুষ্ঠানে অনন্ত কুমার বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা রয়েছে। আমরা দেশের সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওই সংবিধান বারবার সংশোধন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বদল তা হবে। আমরাই সেই বদল করতেই ক্ষমতায় এসেছি
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার দায় ঝোড়ে ফেললেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ের পদত্যাগের দাবিতে তোলাপাড় সংসদের দুই কক্ষ। বিক্ষুব্ধ সাংসদদের দাবি, যিনি দেশের সংবিধানই মানেন না তাঁকে বরখাস্ত করা হোক।
উল্লেখ্য, গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে দেশের সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাত্রাজ্ঞান হারিয়ে ফেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে। তিনি বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্ন যখন ওঠে তখন অনেকে দেশের সংবিধানের কথা বলেন। হাঁ, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা রয়েছে। আমরা দেশের সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওই সংবিধান বারবার সংশোধন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বদল তা হবে। আমরাই সেই বদল করতেই ক্ষমতায় এসেছি।’
বুধবার সংসদ শুরু হতেই হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু করে বিরোধীরা। এনিয়ে বলতে উঠে বিরোধীদের নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, যার সংবিধানের উপরে আস্থা নেই তাঁর সংসদে থাকার কোনও অধিকার নেই। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। শেষপর্যন্ত সভার কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। আজাদ আরও বলেন, হেগড়েকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন-স্ত্রী চেতনাকে নিয়ে বিরুষ্কার রিসেপশনে স্যার কুম্বলে
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে অনন্তকুমার কাণ্ডে হাত ধুলে ফেলা হয়। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল বলেন, হেগড়ে যা বলেছে তার সঙ্গে সরকার একমত নয়। অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, হেগড়ের সঙ্গে সরকার যে একমত নয় তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধিবেশন আর মাত্র দিন পাঁচেক বাকি রয়েছে। বিরোধীদের উচিত বিতর্কে অংশ নেওয়া।