প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর এফডিআই ইস্যুতে অনেকটাই নরম হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে বিরোধীদের আনা মুলতুবি প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হলেও সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভোট দেবে না তৃণমূল। শুক্রবার এমনই খবর মিলেছে কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে।
এফডিআই ইস্যুতে সরকার-বিরোধী সংঘাত তুঙ্গে। পাশাপাশি শরিকমহলেও প্রবল চাপের মুখে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুতে শরিক দল তৃণমূলকে বোঝানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেলিফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মাও। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় সরকারের পক্ষে। তাতে বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
তবে বিরোধিতা বজায় রাখলেও তৃণমূল যাতে সরকার ফেলার রাস্তায় না হাঁটে তাঁর জন্য অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের জন্য যে আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়ে আসছেন, তা মঞ্জুর করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মনমোহন সিং।
কার্যত, আর্থিক প্যাকেজের দাবি মেনে নিয়েই তৃণমূলের মন ভেজাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিংকে আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেলে ১০০ শতাংশ এবং মাল্টিব্র্যান্ড খুচরো ব্যবসায় ৫১ শতাংশ বিদেশি লগ্নি অনুমোদনের নয়া কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা থাকবে, তবে এই ইস্যুতে সংসদে ভোটাভুটি হলে ভোটদানে বিরত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের একাংশের মধ্যেও এফডিআই নিয়ে বিরোধিতা তুঙ্গে। ফলে সংসদে বিরোধীরা মুলতুবি প্রস্তাব আনলে এবং তা গৃহীত হয়ে যদি ভোটাভুটি হয় সেক্ষেত্রে আগামীতে অশনি সংকেত দেখছে কংগ্রেস। আর তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য জোরকদমে 'সংসদীয় সংখ্যা সংগ্রহের সংগ্রামে' নেমেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই তৃণমূল নেত্রীকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
প্রধানমন্ত্রীর ফোনে নরম মমতা, সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবে না তৃণমূল