আরও ১৯ দিনের লকডাউন, শর্তসাপেক্ষে বাইরে বেরনোর অনুমতি, নিয়ম না মানলেই কড়া ব্যবস্থা

 ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি জেলায় কড়া নজরদারি চালানো হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় কত, তা নজর রাখা হবে।  

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Apr 14, 2020, 10:59 AM IST
আরও ১৯ দিনের লকডাউন, শর্তসাপেক্ষে বাইরে বেরনোর অনুমতি, নিয়ম না মানলেই কড়া ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নতুন করে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও ১৯ দিন বাড়ানো হল লকডাউনের সময়সীমা। করোনার হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে এছাড়া আর উপায় নেই বলে ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ভাষণে আগের থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে এবার দ্বিতীয় দফার লকডাউন মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান মোদী। দ্বিতীয় দফার লকডাউনে শর্তসাপেক্ষে বাইরে বেরনোর অনুমতি থাকছে। তবে শর্ত না মানলে অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। লকডাউনের জেরে দেশের অনেক আর্থিক ক্ষতি হলেও, ভারতবাসীর জীবনের দামের কাছে তা তুচ্ছ বলে উল্লেখ করেন মোদী। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ২৪ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মোদী। দেশে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ৩০৮।

একনজরে মোদীর ভাষণ:

* করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই সফল হচ্ছে। করোনার ক্ষতি সামাল দিতে সফল হচ্ছে ভারত।
* আপনারা সবাই কষ্ট সহ্য করেও দেশকে বাঁচিয়েছেন, ভারতবর্ষকে বাঁচিয়েছেন।
* কারও খাওয়ার কষ্ট, আসা-যাওয়ার কষ্ট, পরিবারের থেকে দূরে অনেকে অনেক কষ্ট করছেন।
* নিয়মানুবর্তী সৈনিকের মতো কর্তব্য পালন করছেন। আপনাদের সবাইকে আমার অভিনন্দন।
* করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
* আজ অনেক রাজ্যে নববর্ষের সূচনা। নিজেদের ঘরবন্দি রেখেই মানুষ আজ উৎসব পালন করছেন। আপনাদের সবার মঙ্গল হোক। 
* করোনার একটা সংক্রমণ ধরা পড়ার আগেই ভারত বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং শুরু করেছে। 
* ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূক করেছে। শপিং মল, রেস্তরা, সিনেমা হল বন্ধ করে দিয়েছে।
* আক্রান্তের সংখ্যা যখন ৫০০, তখনই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
* ভারত সমস্যা বাড়তে দেয়নি। বরং সমস্যা দেখা দিতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
* উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেক ভালো। একযোগে কাজ ও সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াতেই সাফল্য এসেছে।
* লকডাউনের ফলে অনেক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ভারতবাসীর জীবনের আগে তা তুচ্ছ।
* রাজ্য সরকারগুলি দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা তৎপর সমস্ত স্থানীয় প্রশাসন। লড়াই করে চলেছে।
* করোনার সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের আগামী পদক্ষেপ কী হবে, দেশ কীভাবে জয়ী হবে তা নিয়ে নিরন্তর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা হচ্ছে।
* সবার সঙ্গে কথা বলার সময় সবাই-ই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। বেশ কিছু রাজ্য আগেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে।
* ভারতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। করোনার হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এছাড়া আর উপায় নেই।
* একইভাবে সবাই নিয়ম মেনে লকডাউন পালন করুন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
* স্থানীয় স্তরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেন না বাড়ে। আগের থেকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
* হটস্পটগুলির উপর কড়া নজর রাখতে হবে। নতুন হটস্পট যেন তৈরি না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
* ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি জেলায় কড়া নজরদারি চালানো হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় কত, তা নজর রাখা হবে।
* ৬০০-র বেশি হাসপাতাল করোনা যুদ্ধে সামিল। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস থেকে সাফাইকর্মীরা নিরন্তর যুদ্ধ করে চলেছেন। তাঁদের সম্মান দিন।
* কাল সরকারের তরফে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। গরিবদের কথা মাথায় রেখেই এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে।
* জরুরি ভিত্তিতে শর্তসাপেক্ষে বাইরে বেরনোর অনুমতি থাকছে। তবে নিয়ম না মানলে অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
* ঘরে বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখুন। লকডাউন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলুন।
* যত পারুন গরিবদের সাহায্য করুন। নিজের ব্যবসায় কর্মরতদের চাকরি কেড়ে নেবেন না।
* ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করুন। আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন, নতুন করে আক্রান্ত ১৫, রাজ্যে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা একলাফে বেড়ে ১১০

.