জাস্টিন ট্রুডোকে 'সমঝে' দিতে হুঙ্কার মোদীর
খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম, এহেন অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁকে পাশে রেখেই ভারতের দৃঢ় অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পাশে রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুঁশিয়ারি দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,''ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে দেশের অখণ্ডতা ভাঙতে চাইলে বরদাস্ত করব না।''
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারত সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে বেশ কয়েকটি চুক্তি। এরপর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকেই 'সিংহগর্জন' নরেন্দ্র মোদী। খলিস্তানপন্থীদের প্রতি জাস্টিন ট্রুডো সরকারের নরম অবস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই মোদী বলেন, ''ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে যারা ব্যবহার করে, তাদের কোনও জায়গা দেওয়া হবে না। ভারতের অখণ্ডতা, ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করলে বরদাস্ত করা হবে না।''মোদী আরও বলেন, ''সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করব আমরা। এজন্য বৈঠক করেছেন দু'দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। সন্ত্রাসবাদ ও হিংসার মোকাবিলায় যৌথভাবে লড়াইয়ের কৌশল চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় শেষ টান বাকি।''
There should be no space for those who misuse religion for political motives and promote separatism. We will not tolerate those who challenge unity and integrity of our countries: PM Modi
— ANI (@ANI) February 23, 2018
#Canada is an important destination for Indian students when it comes to higher education, more than 1 lakh 20 thousand of our students are there. We renewed our MoU on higher education which will enhance the exchange in terms of higher education: PM Modi pic.twitter.com/gkDdYpXk0Q
— ANI (@ANI) February 23, 2018
আরও পড়ুন- মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ সেনাপ্রধানের, নাখুশ ওয়াইসি
৮ দিনের ভারত সফরে এসেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর বিরুদ্ধে খলিস্তানপন্থীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ যদিও পুরনো। কূটনৈতিক মহলের মতে, জাস্টিন ট্রুডোকে শীতল অভ্যর্থনা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁর অবস্থানে মোটেই খুশি নয় নয়া দিল্লি। এরমধ্যে বৃহস্পতিবারই আবার জাস্টিন ট্রুডোর সম্মানে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল খলিস্তানি জঙ্গি যশপাল অটওয়ালকে। এই প্রেক্ষাপটেই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য যথেষ্ট তাত্পত্পর্যপূর্ণ বলে মত কূটনৈতিক মহলের। তাদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর বাক্যবাণের নিশানায় ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোই।
আরও পড়ুন- ধর্ম পরিবর্তন করে শোয়েবকে বিয়ে করলেন দীপিকা?