সর্দার না থাকলে সোমনাথ মন্দিরে যেতে ভিসা লাগত 'শিবভক্ত'দের, রাহুলকে খোঁচা মোদীর
গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মন্দির মন্দিরে পুজো দেন রাহুল গান্ধী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সর্দার বল্লভ ভাই পটেলের মূর্তির উন্মোচনের পরই 'শিবভক্ত' রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার গুজরাটের কেভাড়িয়ায় সর্দার বল্লভ ভাই পটেলের মূর্তি উন্মোচনের পর মোদী বলেন বলেন, দেশের ঐক্যের জন্য বল্লভভাই পদক্ষেপ না করলে সোমনাথ মন্দিরে প্রার্থনা করতে পারতেন না শিবভক্তরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,''ভাবুন খালি, সর্দার পটেল দেশের ঐক্যের জন্য কাজ না করলে গিরের সিং ও বাঘদের দেখতে ভিসা লাগত। সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিতে ভিসা লাগত শিবভক্তদের। হায়দরাবাদের চারমিনার দেখতেও ভিসা লাগত''।
গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মন্দির মন্দিরে পুজো দেন রাহুল গান্ধী। এমনকি নিজেকে তারপর থেকে শিবভক্ত বলেও দাবি করছেন কংগ্রেস সভাপতি। সদ্য ঘুরে এসেছেন কৈলাস মানসরোবর। মধ্যপ্রদেশেও নির্বাচনী প্রচারেও চলছে রাহুলের মন্দির দর্শন। রাহুলকে শিবভক্ত বলে দাবি করে পোস্টারও সাঁটিয়েছে কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে মহাকালেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন কংগ্রেস সভাপতি। বলে রাখি, গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে তাঁর পুজো দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন রাহুল। মন্দিরের দর্শনার্থী খাতায় রাহুলকে অহিন্দু হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গী। তখন কংগ্রেস দাবি করেছিল, রাহুল গান্ধী পৈতেধারী হিন্দু। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা।
গতবছর নভেম্বরেই প্রধানমন্ত্রীও রাহুলের সোমনাথ দর্শন নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন। মোদী বলেছিলেন, সোমনাথ মন্দির ফের গড়ে তুলতে চাননি রাহুলের ঠাকুরদা জওহরলাল নেহরু। মন্দিরটি সংস্কার করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই পটেল। বলে রাখি, ১০২৬ সালে সোমনাথ মন্দির ধ্বংস ও লুট করেছিলেন গজনির সুলতান মামুদ।
আরও পড়ুন- মোদীর মেকআপ শিল্পীর মাসে বেতন ১৫ লক্ষ! আসল সত্যিটা কী?