বহুগামীতা ইসলামের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ নয়: সুপ্রিম কোর্ট

যদিও শরিয়াতি আইন (মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন) অনুযায়ী এক ব্যক্তির ৪ পত্নী স্বীকৃত, সোমবার সেই আইনকে কার্যত খারিজ করে দিল  দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানাল বহুগামীতা মুসলিসদের মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়।  

Updated By: Feb 10, 2015, 05:46 PM IST
বহুগামীতা ইসলামের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ নয়: সুপ্রিম কোর্ট

নয়া দিল্লি: যদিও শরিয়াতি আইন (মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন) অনুযায়ী এক ব্যক্তির ৪ পত্নী স্বীকৃত, সোমবার সেই আইনকে কার্যত খারিজ করে দিল  দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানাল বহুগামীতা মুসলিসদের মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়।  

সোমবার বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে গোয়েলের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ জানিয়েছে ''সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি নিজ ধর্ম পালন ও তার বিস্তারে সচেষ্ট হতেই পারেন। একদিকে যেমন কারোর ধর্মীয় বিশ্বাসকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনই জনস্বার্থে শরীর ও সার্বিক নৈতিকতার বিরোধী কোনও অভ্যাসের বিরোধীতা করাও প্রয়োজনীয়। বহুগামীতা ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় এবং আর্টিকল ২৫-এর ভিত্তিতেই একগামীতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্র।''

কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বহুগামীতাকে সমর্থন করলেও তাকে অনুমোদন করা যায় না।

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আর একটি বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশ সরকার তাদের এক কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছিল। এর পরেই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও দায়ের করা হয়।

সোমবার সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা ধর্মীয় বিশ্বাসকে রক্ষা করে, ধর্মীয় অনুশীলনকে নেয়। এই বিষয়ে বম্বে, গুজরাত ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে অ্যাপেক্স কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে আর্টিকল ২৫-এর কোনও অবমাননাই করেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার।

উত্তর প্রদেশের ইরিগেশন দফতরের এক আধিকারিক খুরশিদ আহমেদ খান প্রথম স্ত্রী সাবিনা বেগমের কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই অঞ্জুম বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর প্রথম স্ত্রীর বোন। মানবাধিকার কমিশন পুলিসকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুলিস তাদের তদন্ত রিপোর্টে জানায় প্রথম স্ত্রীর উপস্থিতি সত্ত্বেও সত্যিই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন খুরশিদ। এরপরেই খুরশিদকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় উত্তর প্রদেশ সরকার।

সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানান খুরশিদ। কিন্তু হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন।

 

 

 

.