ভোটের আগে মাদক সমস্যায় সরগরম পাঞ্জাব রাজনীতি
ভোটের আগে মাদক সমস্যা নিয়ে সরগরম পাঞ্জাবের রাজনীতি। তবে সীমান্তে মাদক পাচার কিন্তু কমেনি। উল্টে ড্রাগস পাচারের কৌশল বদলেছে পাকিস্তানের কারবারিরা। তুলনামূলক কম তেজি হেরোইন ঢুকছে সীমান্তের ওপার থেকে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ, পাঞ্জাবের বাজারে মাদকের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কৌশল বদলেছে পাচারকারীরা।
ওয়েব ডেস্ক : ভোটের আগে মাদক সমস্যা নিয়ে সরগরম পাঞ্জাবের রাজনীতি। তবে সীমান্তে মাদক পাচার কিন্তু কমেনি। উল্টে ড্রাগস পাচারের কৌশল বদলেছে পাকিস্তানের কারবারিরা। তুলনামূলক কম তেজি হেরোইন ঢুকছে সীমান্তের ওপার থেকে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ, পাঞ্জাবের বাজারে মাদকের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কৌশল বদলেছে পাচারকারীরা।
এও এক সীমান্তপার সন্ত্রাস। কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে অনায়সে পাঞ্জাবে ঢুকে পড়ছে মারণ মাদক হেরোইন। সহজলভ্য মারণ নেশার ফাঁসে হাঁসফাঁস পাঞ্জাবের যুবসমাজ। গত কয়েক দশক ধরে মাদক সমস্যা ঘুণের মত পাঞ্জাবের যুব সমাজকে ঝাঁঝড়া করে দিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এবারও অন্যতম ইস্যু এই মাদক সমস্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজেপি-অকালি জোট সরকারের ব্যর্থতা ইভিএমে ব্যুমেরাং হতে পারে। এরই মাঝে মাদক ব্যবসার নতুন ট্রেন্ড চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।
আরও পড়ুন- নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে 'ইতিহাসে' পরিণত করার ডাক মোদীর
মাদক ব্যবসায় নয়া ট্রেন্ড
এবার কম তেজি মাদক পাচারের কৌশল নিয়েছে পাক পাচারকারীরা। গত দুবছর ধরে সীমান্ত পেরিয়ে পাঞ্জাবে যে হেরোইন ঢুকছে, তার শুদ্ধতা আগের তুলনায় অনেক কম। ২০১২ সালে ১ কেজি মাদকের মধ্যে হেরোইনের পরিমাণ ছিল ৪৩%। ২০১৪ সালে সেই হার কমে প্রতি কেজিতে ১২% হয়েছে। কিন্তু মাদকের তেজ কমায় স্বস্তিতে নেই বিশেষজ্ঞরা। বরং উদ্বেগ বেড়েছে। আশঙ্কা, সীমান্তে কড়াকড়ি এড়িয়ে আরও বেশি করে নেশার জাল ছড়িয়ে দিতেই পাক পাচারকারীদের এই নয়া কৌশল।
নেশার জাল
বাজারে নেশার সামগ্রীর চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াতেইকম তেজি মাদক পাচারের ঝুঁকি নিয়েছে কারবারিরা।পাচারকারীরা নিশ্চিত, পাঞ্জাবের বাজারে মাদকের চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই। তুলনামূলক কম কড়া মাদকে ওভারডোজে মৃত্যুর আশঙ্কা কম। মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো গেলে, মাদক সমস্যা তত বেশি নজর কাড়বে না। প্রতি বছর পাঞ্জাব সীমান্তে কোটি কোটি টাকার মাদক ধরা পড়ে। তাতে পাচার বন্ধ হয়নি। সতেচনতা, চিকিত্সা, পুনর্বাসন, এই সব ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। এই সুযোগে নিত্য নতুন কৌশলে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে মারণ ড্রাগস। নেশার শিকড় আরও গভীর হচ্ছে।