জম্মুতে সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠলেও এখনও কড়া পাহারায় কাশ্মীর

অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সাত দিন পর সব রকমের বিধিনিষেধ উঠে গেল জম্মুতে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। কাশ্মীরে এখনও বিধিনিষেধ থাকবে। তবে, তা কতদিন সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি জম্মু-কাশ্মীরের সিনিয়র পুলিস কর্তারা।

Updated By: Aug 14, 2019, 12:17 PM IST
জম্মুতে সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠলেও এখনও কড়া পাহারায় কাশ্মীর
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সাত দিন পর সব রকমের বিধিনিষেধ উঠে গেল জম্মুতে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। কাশ্মীরে এখনও বিধিনিষেধ থাকবে। তবে, তা কতদিন সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি জম্মু-কাশ্মীরের সিনিয়র পুলিস কর্তারা।

উল্লেখ্য, গত ৪ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এর সপ্তাহ খানেক আগে থেকে মোট ৩৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। এই পদক্ষেপে জল্পনা তৈরি হয়, তা হলে কি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রকাশ্যে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি না দেওয়া হলেও জঙ্গি আশঙ্কা করে হঠাত্ অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া, পর্যটকদের ফেরত্ পাঠানো, এসবের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয় স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

আরও পড়ুন- জম্মুতে সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠলেও এখনও কড়া পাহাড়ায় কাশ্মীর

গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রস্তাব, এবং সেই রাজ্যের পুর্নগঠনের বিল নিয়ে আসা রাজ্যসভায়। তার আগেই ৩৭০ বিলোপের প্রস্তাবে অনুমতি দেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। রাজ্যসভা এবং পরের দিন লোকসভায় এই প্রস্তাব সহজেই পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। উপত্যকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদ্দুলা এবং মেহবুবা মুফতি-সহ ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। ফারুক আবদ্দুলাকে গৃহবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ।

জম্মু-কাশ্মীরের সিনিয়র পুলিস অফিসার মুনির খান জানান, জম্মুতে বিধি নিষেধ পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় এখনও বিধিনিষেধ রয়েছে। উল্লেখ্য, ইদ উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লক্ষ করা যায়। যদিও রাস্তার মাঝে মাঝে কাঁটাতার এবং কড়া পুলিসি নিরাপত্তা রয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট, ফোন পরিষেবা। এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত রেহাই পেতে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা।  তবে, এই মামলার দ্রুত রায় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ জানায়, “আমরাও চাই শান্তি ফিরে আসুক। কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। এখনও কেউ জানে না ওখানে কী চলছে? সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে। এটি স্পর্শকাতর বিষয়।”

.