নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জোর ধাক্কা খেলেন জনতা দল ইউনাইটেডের প্রাক্তন সভাপতি শরদ যাদব। সাংসদ হিসেবে তাঁর বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ। তবে সরকারি আবাসনে থাকতে পারবেন তিনি।
বিহারে মহাজোট ছেড়ে নীতীশের বেরিয়ে যাওয়ার পরই শরদের সঙ্গে দলের বিবাদ শুরু হয়। নীতীশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন শরদ যাদব ও আলি আনোয়ার। বিরোধী জোটের সভাতেও দেখা যায় শরদকে। এরপরই দুজনের রাজ্যসভার পদ খারিজের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে নীতীশের দল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন শরদ যাদব। রাজ্যসভার সাংসদ থেকে তাঁর বহিষ্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। তবে বেতন, ভাতা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখে আদালত। এমনকি সরকারি বাংলোয় তাঁর থাকা মঞ্জুর করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জেডিইউ-র রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্রপ্রসাদ সিং। তাঁর যুক্তি ছিল, দলের নির্দেশ ভেঙে পটনায় বিরোধী শিবিরের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শরদ যাদব। এদিন সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতি একে গোয়েল ও অশোক ভূষণের অবকাশকালীন বেঞ্চের নির্দেশ, বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবেন না শরদ যাদব। তবে ১২ জুলাই পর্যন্ত সরকারি বাংলোয় থাকতে পারবেন। এর পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে যে মামলা চলছে, তার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতি।
২০১৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন শরদ যাদব। ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ। দলত্যাগ বিরোধী আইনে রাজ্যসভার সাংসদ খারিজ হয়ে গিয়েছে শরদের। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক সময় নীতীশের সঙ্গী শরদ যাদব। গত এপ্রিলে রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হয় আলি আনোয়ারের।